বিভিন্ন দেশের অভিবাসন ব্যবস্থার সবচেয়ে আকর্ষণীয় কার্যনীতি হচ্ছে ভিসামুক্ত প্রবেশ। যেখানে বিদেশে প্রবেশের জন্য নির্দিষ্ট দেশের নাগরিকের আগে থেকে কোনও রকম ভিসা-প্রাপ্তির প্রয়োজন পড়ে না। এই নিয়মে ভ্রমণরতদের ভিসা ফি দিয়ে কোনও রূপ আনুষ্ঠানিক ভিসা প্রক্রিয়াকরণ ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হয় না।
ঘুরে বেড়ানো বা ব্যবসা; যে কোনও উদ্দেশ্যেই এই সুবিধা নেওয়া যায়। তবে এইভাবে গন্তব্যের দেশটিতে অবস্থান করার একটি নির্দিষ্ট সময় সীমা থাকে, যা বিভিন্ন দেশের জন্য বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে।
হেনলি পাসপোর্ট সূচক অনুসারে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা ২২টি দেশে ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন। এই দেশগুলোতে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশি নাগরিকদের নিজ দেশের ভেতরে থেকে ভিসা প্রাপ্তির জন্য অগ্রীম আবেদন করতে হবে না। এমনকি বিমানবন্দর পেরিয়ে সেই দেশগুলোতে প্রবেশের সময়েও প্রয়োজন হবে না কোনও ধরনের আনুষ্ঠানিক অনুমতির।
চলুন, ভিসা ছাড়া গন্তব্যের দেশগুলো এক নজরে দেখে নেয়া যাক।
১. বাহামাস
২. বার্বাডোস
৩. ভুটান
৪. ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ
৫. কুক দ্বীপপুঞ্জ
৬. ডমিনিকা
৭. ফিজি
৮. গ্রেনাডা
৯. হাইতি
১০. জ্যামাইকা
১১. কিরিবাতি
১২. লেসোথো
১৩. মাদাগাস্কার
১৪. মাইক্রোনেশিয়া
১৫. মন্টসেরাট
১৬. নিউয়ে
১৭. রুয়ান্ডা
১৮. সেন্ট কিটস ও নেভিস
১৯. সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইনস
২০. গাম্বিয়া
২১. ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
২২. ভানুয়াতু
এখানে মাদাগাস্কার, রুয়ান্ডা, এবং ভানুয়াতু গত বছর পর্যন্ত বাংলাদেশিদের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসা চালু রেখেছিল। আর ওশেনিয়া মহাদেশের দ্বীপদেশ কিরিবাতি এ বছরে এই তালিকায় নতুন সংযোজন।
এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সময়- ৬ মাসের মেয়াদে ফ্রি ভিসায় থাকা যাবে বার্বাডোস, ডোমিনিকা, জ্যামাইকা, এবং মন্টসেরাট-এ।
ফিজিতে ভ্রমণ করার জন্য বরাদ্দ রয়েছে সর্বোচ্চ ৪ মাস। ৯০ দিনের মেয়াদে অবস্থান করা যাবে কিরিবাতি, সেন্ট কিটস ও নেভিস এবং লেসোথো’তে, যেখানে বাহামা, গ্রেনাডা, এবং হাইতি’র ক্ষেত্রে বলা আছে ৩ মাসের কথা।
কুক আইল্যান্ড্স-এ ফ্রি ভিসার মেয়াদ ৩১ দিন, গাম্বিয়া, মাইক্রোনেশিয়া, রুয়ান্ডা, ভানুয়াতু, ও ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড্সে ৩০ দিন, এবং সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন্স-এ ১ মাস। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে থাকার সুযোগ আছে ৩০ থেকে ৯০ দিন। আর মাদাগাস্কার-এ অবস্থানের সময়সীমা সবচেয়ে কম; মাত্র ১৫ দিন।