ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার লাঙ্গলবাঁধ এলাকার জিকে সেচ খালের পাড়ের ডাউটিয়া ব্রীজ হতে লাঙ্গলবাঁধ বাজার পর্যন্ত শোভা পাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন বাগান। এখানে রোপন করা হয়েছে চিকরাশি, জারুল, অর্জুন, খয়ের, সোনালু, বাবলা, শিমুল, শিশু, মেহগনি, নিম, বহেরা, হরিতকিসহ প্রায় ১৮ টি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ।
সবুজায়নের ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশ সুন্দর ও উন্নত হয়েছে সেই সাথে অক্সিজেন সরবরাহের উৎস হিসেবে কাজ করছে দৃষ্টিনন্দন এই বাগানটি।
জানা যায়, যশোর সামাজিক বন বিভাগ ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় ২০২১-২২ অর্থ বছরে জিকে প্রধান সেচখালের ডাউটিয়া ব্রীজ হতে লাঙ্গলবাঁধ বাজার পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে অন্তত ১০ হাজার টি বিভিন্ন প্রজাতের গাছের চারা রোপণ করেছে। বাগানের দেখভাল করেন ওই এলাকার ৫৭ জন উপকারভোগী। যার মধ্যে পুরুষ ৫২ জন ও মহিলা ৫ জন।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, আগামী ১০ বছর পর বাগানের গাছ বিক্রি করে বিক্রয়লব্ধ অর্থের ৫৫ শতাংশ লভ্যাংশ উপকারভোগী সদস্যের মাঝে সমভাবে প্রদান করা হবে। এছাড়া ভূমি মালিক ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদকেও সামাজিক বনায়নের নীতিমালার আলোকে লভ্যাংশ প্রদান করা হবে। বাগানটির উপকারভোগী সদস্যগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে রোপিত গাছ পাহারার কাজে সহযোগিতা করছেন।
সামাজিক বায়নের সভাপতি স্থানীয় বাসিন্দা সুজন মিয়া বলেন, এই খাল পাড়ে আগে কোন গাছ ছিলো না। সামাজিক বন বিভাগ এখানে গাছ রোপন করেছে। এতে যেমন এলাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ঠিক তেমনি এই এলাকার খাল পাড়ের ভুমি ধ্বস রক্ষা পাবে।
স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, জিকে সেচ খালের পাড়ে অন্তত ১৮ টি বিভিন্ন জাতের গাছ রোপন করা হয়েছে। গাছগুলি স্থানীয় লোকজন পরিচর্যা ও পাহারা দিচ্ছে। এ ভাবে যদি গাছ বাড়তে থাকে তাহলে বন বিভাগের এ ধরণের বনায়ন কর্মসূচির কারণে পতিত এ জায়গায় অচিরেই লক্ষ লক্ষ টাকা বৃক্ষ সম্পদে পরিণত হবে।
ঝিনাইদহ বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, লাঙ্গলবাঁধ এলাকার খালের পাড়ে সৃজিত বাগানটি এলাকায় দৃষ্টিনন্দন অবস্থার সৃষ্টি করেছে। বিভিন্ন প্রজাতির পাখ-পাখালির কলরবে বাগানটি পরিপূর্ণ। বাগানটি ভূমিক্ষয়, বাঁধ সংরক্ষণ ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় রোধে সহায়তা করছে।
স্থানীয় কৃষক ও পথিকগণ গাছর ছায়ায় বিশ্রাম নিয়ে থাকেন। বাগানটি আর্থ সামাজিক উন্নয়নের সাথে সাথে প্রাকৃতিক পরিবেশের উন্নয়ন সাধনে ভুমিকা পালন করছে।
তিনি আরও জানান, শৈলকুপা উপজেলায় বন বিভাগের এই ধরনের সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি চলমান থাকবে।