যশোরের চৌগাছায় মা ও মেয়ের একসাথে বিষপানে জেসমিন আক্তার (৩৫) নামের মায়ের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর অবস্থায় যশোর ২৫০শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ১৭ মাসের কোলের শিশু মুক্তি খাতুন। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় উপজেলার পাতিবিলা ইউনিয়নের সাদিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।নিহত জেসমিন আক্তার পাতিবিলার সাদিপুর গ্রামের মুক্তার আলীর স্ত্রী এবং নারায়নপুর ইউনিয়নের পেটভরা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে।
জানা গেছে, জেসমিনের মৃত্যু নিয়ে নানা ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। তার পরিবারের দাবি শারিরীক নির্যাতন ও চিকিৎসায় অবহেলার কারনে মারা গেছে তাদের মেয়ে।
নিহতের বাবা সিরাজুল ইসলাম ও ভাই শাওন হোসেন জানান, “স্বামীর সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংসারে কলহ লেগেই থাকতো জেসমিনের। আর প্রায়ই তার স্বামী তাকে মারধর করতো। প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার সকালেও ঝামেলা হয় তাদের। তারই জের ধরে অভিমানে এদিন সন্ধ্যায় প্রথমে মেয়েকে বিষ খাওয়ায় জেসমিন। এরপর সে নিজে খায়। পরিবারের লোকজন টের পেয়ে চৌগাছা হাসপাতালে নিলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় মা-মেয়েকে যশোর প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। সেখান থেকে মায়ের অবস্থা গুরুতর বুঝে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা রেফার্ড করা হয় তাকে। কিন্তু শশুড়বাড়ির লোকজন তাকে সেখানে না নিয়ে সাদিপুরের নিজ বাড়ি নিয়ে চলে আসেন। পরদিন মঙ্গলবার অবস্থার অবনতি হওয়ায় পুনরায় চৌগাছা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।”
নিহতের ভাই শাওন হোসেন আরও জানান, “মঙ্গলবার বোনকে যশোর থেকে খুলনায় রেফারের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। রেফারের কাগজ আনতে গিয়ে ফিরে এসে বোনকে না দেখতে পেয়ে খোজ নিয়ে জানতে পারি ওর শশুড়বাড়ির লোক ওরে বাড়ি নিয়ে গেছে।” বোনের মৃত্যুর জন্য শশুড়বাড়ির লোকজনকে দায়ী করে শাওন বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত বোন জেসমিনকে কেনো বাড়িতে রাখা হলো?
চৌগাছা থানার ওসি (তদন্ত) জেল্লাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।