বাঁয়ে সিনথিয়া ইসলাম তিশা। ঢাকা মহানগর ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন তিশার বাবা সাইফুল ইসলাম
অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি মোবাইল ফোনে কল দিয়ে মেয়েকে হত্যার হুমকি দিয়েছে বলে পুলিশের গোয়েন্দা ব্র্যাঞ্চে (ডিবি) অভিযোগ করেছেন আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সিনথিয়া ইসলাম তিশার বাবা সাইফুল ইসলাম।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ডিবিতে লিখিত অভিযোগে তিনি বলেছেন, ফোন করলে পরিচয় জানতে চাওয়ায় বেশি বাড়াবাড়ি করলে মেয়েকে (তিশাকে) মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। বিষয়টি অশুভ ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে ঘটনার যথাযথ তদন্ত ও সুষ্ঠু ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
রবিবার বিকালে সাড়ে ৩টার দিকে তিশার বাবা মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে যান। সেখানে ঢাকা মহানগর ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন তিনি।
ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) বরাবর লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি মোবাইল নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে আমাকে বলেন, ‘আপনি কি তিশার আব্বু বলছেন?’। আমি হ্যাঁ বললে তিনি বলেন, ‘আপনি বেশি বাড়াবাড়ি কইরেন না, বেশি বাড়াবাড়ি করলে আপনার মেয়েকে মেরে ফেলবো।’
সাইফুল ইসলাম তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, এরপর দেখি—আমার মোবাইলে আরও দুটি নম্বর থেকে রাত ১টা ১৫ ও ১টা ১৯ মিনিটে কল আসে। আমি এত রাতে ঘুমিয়ে যাওয়ায় সকালে উঠে এসব নম্বর থেকে মিসড কল দেখতে পাই, যা আমার কাছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মনে হয়েছে।
বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৫ মার্চ আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ একই প্রতিষ্ঠানের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সিনথিয়া ইসলাম তিশাকে বিয়ে করেন। তবে এই ঘটনা জানাজানি হয় জুনের শুরুতে। এর আগে মুশতাকের বিরুদ্ধে ওই ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি তদন্তের জন্য ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (শিক্ষা ও আইসিটি) তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে তদন্তের আগেই তারা বিয়ের ঘোষণা দেন। এ ব্যাপারে মুশতাকের বিরুদ্ধে মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ এনে মামলাও দায়ের করেন তিশার বাবা। অসম বয়সী মুশতাক ও তিশার বিয়ের বিষয়টি বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত ও সমালোচিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে।