সিলিন্ডার বদলাতেই আগুন– এভাবে শিরোনাম করেছে দৈনিক আজকের পত্রিকা। এই খবরে বলা হয়েছে, রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুনের সূত্রপাত নিয়ে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কর্মচারীরা জানিয়েছে, চুলা জ্বালানো অবস্থায় গ্যাসের সিলিন্ডার পরিবর্তন করছিলেন একটি দোকানের কর্মচারীরা। সেই সময় দোকানে আগুন ধরে যায়। তবে এই ঘটনাকে নিছক দুর্ঘটনা বলে তারা দাবি করেছেন।
সেই আগুন বড় হয়ে কেড়ে নেয় ৪৬ জন মানুষের প্রাণ।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, কাচ্চি ভাই থেকে বের হয়েই তৃতীয় তলায় থাকা ইলিয়ন নামের একটি পোশাকের দোকানে আশ্রয় নিয়েছিলেন অনন্ত ৪৫ জন। কালো ধোঁয়ায় শ্বাস নিতে না পেরে সেখানে সবাই অচেতন হয়ে যান। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে গিয়ে প্রথমেই দু-একজনকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। বাকিদের পেয়েছিলেন অচেতন অবস্থায়। পরে তাঁরাও মারা যান।
সর্বনাশের পর হম্বিতম্বি, এটি সমকাল পত্রিকার প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানীর বেইলি রোডের রেস্তোরাঁয় ঠাসা ভাবন গ্রিন কোজি কটেজে আগুন লেগে ৪৬ জন মানুষের মৃত্যুর পর ঘুম ভেঙেছে কর্তৃপক্ষের। সেজন্যই গত দু’দিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান চালাচ্ছে সিটি কর্পোরেশন, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।
সোমবার, অর্থাৎ গত চৌঠা মার্চ ধানমণ্ডির সাতমসজিদ সড়কের ১৪তলা কেয়ারি ক্রিসেন্ট ভবন সিলগালা করেছে ঢাকা দক্ষিণ কর্পোরেশন। একইদিনে ওই এলাকার গাউছিয়া টুইন পিক ভবনের বর্ধিতাংশ ভেঙ্গে দিয়ে সব রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দিয়েছে রাজউক।
গত দুই দিনে ২৮৫টি রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে মোট ৩৭৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ, তবে তাদের অধিকাংশই শ্রমিক ও কর্মচারী; ভবন বা রেস্তোরাঁ মালিক নন।
বছরের পর বছর ধরে নিয়মের বাইরে গিয়ে চলা রেস্তোরাঁগুলোকে এতদিন কেন বন্ধ করা হলো না প্রশ্নের মুখে অভিযান পরিচালনা করা ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন— লোকবল সংকটে এতদিন ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। ধানমণ্ডিতে ১৯টি ভবন রয়েছে, যেগুলো রেস্তোরাঁয় ভরা। একে একে সব জায়গায় অভিযান হবে।
সংস্থাগুলো যে যার মতো অভিযানে, এটি প্রথম আলো পত্রিকার প্রথম পাতার খবর। এতে বলা হয়েছে, রাজধানীজুড়ে বিভিন্ন রেস্তোরাঁতে রাজউক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ও পুলিশ অভিযান চালালেও তারা সমন্বিত ও পরিকল্পিতভাবে না, যে যার মতো অভিযান চালাচ্ছে।
গত ২৯শে ফেব্রুয়ারি গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডের পর সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলো সমালোচনার মুখে পড়ে। তাই, এখন নিজেদের মতো করে অভিযানে নেমেছে তিন পক্ষ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে মানুষের জীবন বাঁচাতে, অগ্নিঝুঁকি দূর করতে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অভিযান চালাতে হবে। কিন্তু সেটা হতে হবে সমন্বিত, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ভিত্তিতে।
চলমান অভিযান সমন্বিত কি না, এ বিষয়ে গণপূর্তসচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন বলেন, “রাজউক আপাতত নিজেদের মতো করে অভিযান পরিকল্পনা করছে। সরকারের অন্য দপ্তর জনবলের অভাব ও অন্য কাজের চাপে প্রতিদিন অভিযান পরিচালনা করতে পারছে না। ফলে সব সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে এখন অভিযান চালানো যাচ্ছে না।”
এতে বলা হয়, বেইলি রোডের আগুনের ঘটনায় দায়ের করা তিনটি রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট বলেছে, ‘যখন কোনও ঘটনা ঘটে, বিপুল প্রাণহানি হয়, তখনই আমরা সজাগ হই। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রচার ও প্রকাশিত হয়। এসব প্রতিবেদনে বলা হয় দুর্ঘটনাকবলিত ভবনে এটার-ওটার অনুমোদন ছিলো না। এ ধরনের অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটার আগে আমরা কেন সতর্ক হই না?’
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত বলেন, “ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে নিয়মিত নোটিশ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।”
এ প্রেক্ষাপটে হাইকোর্ট থেকে বলা হয়, ‘এ নোটিশগুলো পকেটে রেখে দেওয়া হয়। এ নোটিশগুলো যেন দৃশ্যমান হয়, বিল্ডিংয়ের সম্মুখে যেন টানানো থাকে, নোটিশ পড়ে নাগরিকরা যেন বুঝতে পারে যে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ।’
3 out of 4 city markets risky; অর্থাৎ চারটির মাঝে তিনটি বিপণিবিতানই ঝুঁকিপূর্ণ। এটি দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার প্রথম পাতার খবর।
ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, চারটির মাঝে তিনটিতেই যথাযথ অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাব রয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস গত বছর ৫৮টি মার্কেট এবং শপিং মল পরিদর্শন করেছিলো। এর মাঝে নয়টি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং ৩৫টি ঝুঁকিপূর্ণ।
কৃষকই খাদ্য নিরাপত্তাহীন, এটি দেশ রূপান্তর পত্রিকার প্রথম পাতার খবর। এতে বলা হয়েছে, দেশে খাদ্য উৎপাদনও বাড়লেও যারা উৎপাদন করছেন, তারা নিজেরাই খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) খাদ্য নিরাপত্তা পরিসংখ্যান ২০২৩ অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে কৃষির ওপর নির্ভরশীল ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ পরিবার খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ কারণে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পেশা হিসেবেও সামনে আসছে কৃষি।
ইতোমধ্যে বিভিন্ন কারণে গত এক বছরে কৃষি পেশা ছেড়ে দিয়েছেন প্রায় ১৬ লাখ মানুষ এবং এতে সামগ্রিকভাবে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় পড়তে পারে বাংলাদেশ।
কৃষি অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশের কৃষকরা উচ্চমূল্যের কৃষিপণ্য উৎপাদন করলেও নিজের জন্য কিছুই রাখেন না। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে উৎপাদিত ফসল মাঠেই বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। পরিস্থিতি এখন এমন দাঁড়িয়েছে, কৃষক যে খাদ্য ফলান, একটি পর্যায়ে গিয়ে সে খাদ্যই বেশি দামে কিনে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে তাদের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা সবচেয়ে বেশি হবে, এটাই স্বাভাবিক।
একীভূত হতে ব্যাংক পরিচালকদের ছয় মাস সময় দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক, এটি বণিক বার্তার প্রথম পাতার খবর। এতে বলা হয়েছে, এ সময়ের মধ্যে নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী সবল বা দুর্বল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে বলা হয়েছে। অন্যথায়, আগামী জানুয়ারি থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজস্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করে দেবে।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) নেতাদের সঙ্গে গতকাল অনুষ্ঠিত বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিএবি নেতাদের গভর্নর বলেছেন, “আমাদের কাছে তথ্য আছে কোন ব্যাংক ভালো, আর কোন ব্যাংক খারাপ। আপনারা চাইলে পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূত করার উদ্যোগ নিতে পারেন।”
“সবল দুটি ব্যাংক একীভূত হয়ে আরো বড় ও শক্তিশালী হতে চাইলে সেটিতেও আপত্তি নেই। ভারত, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যাংক একীভূত হচ্ছে। একীভূত হলে ব্যাংক শক্তিশালী হয়। নিজেরা একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে আগামী জানুয়ারি থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবে।”
20 Bangladeshis killed by BSF in 7 months; অর্থাৎ, গত সাত মাসে বিএসফের হাতে নিহত ২০ বাংলাদেশি। এটি নিউ এজ পত্রিকার প্রথম পাতার সংবাদ।
এতে বলা হয়েছে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের একজন সদস্য সহ কমপক্ষে ২০ জন বাংলাদেশি ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে এ পর্যন্ত ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন।
অথচ, সীমান্ত হত্যা কমানো নিয়ে দুই দেশের সীমান্ত বাহিনীর মাঝে একাধিকবার আলোচনা হয়েছিলো।
সোমবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে ঢাকায় সফররত আইএমএফের টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স (টিএ) মিশন। যেসব খাতে করছাড় দেওয়া হয়েছে তার যৌক্তিকতা নিয়েও বৈঠকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বৈঠকে আয়কর বিভাগের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের নানা দিকও জানতে চেয়েছে আইএমএফ।
রাজস্ব আয় বাড়াতে আয়কর, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং শুল্ক খাতে বছরের পর বছর যেসব করছাড় দেওয়া হয়েছে, আগামী অর্থবছরে তা কমানোর জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছে। এসব বিষয়ে অগ্রগতির ওপর নির্ভর করবে ঋণের পরবর্তী কিস্তি পাওয়া।