ইসলামোফোবিয়া নিয়ে নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, ‘ইসলামভীতি মোকাবেলায় জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আন্তর্জাতিক দিবসে একটি ভোটাভুটির মাধ্যমে ‘ইসলামোফোবিয়া মোকাবেলার পদক্ষেপ’ শীর্ষক প্রস্তাবের পক্ষে ১১৫ টি দেশ ভোট দিয়েছে।
তবে ভোটদানে বিরত ছিল ভারত, ব্রাজিল, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ ৪৪টি দেশ। প্রস্তাবের বিপক্ষে কোন দেশ ভোট দেয়নি।
পাকিস্তানের উদ্যোগে উত্থাপন করা এই খসড়া প্রস্তাবে সহযোগী দেশ হিসেবে ছিল চীন।
সাধারণ পরিষদে উত্থাপিত খসড়া প্রস্তাবে ইসলামোফোবিয়া মোকাবেলায় জাতিসংঘের একজন বিশেষ দূত নিয়োগ করতে সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
তবে ভারত নীতিগতভাবে এমন বিশেষ দূত নিয়োগের বিষয়ে বিরোধিতা করেছে।
নিজের অবস্থানের পক্ষে ভারত জোর দিয়ে বলেছে, সহিংসতা ও বৈষম্যের শিকার হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ ও অন্যান্য ধর্ম বিশ্বাসের ব্যাপারেও ধর্মভীতি বিরাজমান।
তাই শুধু একটি ধর্মের মধ্যে একে সীমাবদ্ধ না রেখে তা অবশ্যই ওই সব ধর্মের পরিপ্রেক্ষিতে বিবেচনা করতে হবে।
প্রস্তাবের সদস্য দেশগুলোকে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে বিশেষ করে ইসলামোফোবিয়াকে টার্গেট করে সিদ্ধান্ত মূলক পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আত্মহত্যা প্রতিরোধে সোচ্চার ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। ছিলেন প্রাণোচ্ছল, প্রতিবাদী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটির সদস্য।
হঠাৎই সাঙ্গ হলো সব। ফেসবুক স্ট্যাটাসে এক সহপাঠী ও শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে বেছে নেন আত্মহত্যার পথ।
শুক্রবার রাতে নিজ বাড়িতে আত্মহত্যার পর জোড় আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় দায়ীদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা।
অবন্তীকা মৃত্যুর আগে ফেসবুকে যে স্ট্যাটাস দিয়েছেন সেখানে তার মৃত্যুর জন্য দায়ী হিসেবে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহাকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের নাম উল্লেখ করেছেন।
কিন্তু স্ট্যাটাসে তার সঙ্গে কী ঘটেছিল তার পরিষ্কার কিছু লিখেননি।
অবন্তীকার মৃত্যুর পর এই প্রশ্ন এখন সামনে এসেছে যে কী এমন ঘটেছিল তার সঙ্গে যে কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত শুক্রবার বিকেলে ২৯ পণ্যের দাম বেঁধে দেয় কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। কিন্তু সংস্থাটি দামের যে ফর্দ সাজিয়েছে, সেই কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কর্মকর্তাদের ছায়াও দেখা যায়নি বাজারে।
রাজধানীর অন্তত ছয়টি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ ব্যবসায়ীই অধিদপ্তরের দাম মানছেন না। ২৯ পণ্যের মধ্যে একটিও নির্ধারিত দামে বিক্রি হতে দেখা যায়নি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২৯ পণ্যের দামের তালিকা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মনগড়া। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা না বলেই রমজানে গণমাধ্যমের নজরে আসতে সংস্থাটি দাম নির্ধারণের মতো কৌশল নিয়েছে।
ভোক্তারা বলছেন, শুধু মুখে না বলে সরকারের উচিত প্রতিটি ধাপে পণ্যের মজুত পর্যালোচনা করা এবং বাজারে যথাযথ সরবরাহ নিশ্চিত করা। সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে মাঠে না নামালে অবস্থার বদল হবে না।
এদিকে সরকারের সংশ্লিষ্ট তদারকি সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন, নির্দেশনা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দাম কার্যকর করা কঠিন। কারণ, খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে নতুন দরের পণ্য পৌঁছাতে কিছুটা সময় লাগে।
তাই তারা এখন উৎপাদন ও মজুত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং এসব পর্যায়ে নির্ধারিত দাম কার্যকরের বিষয়ে বেশি মনোযোগী। এসব স্তরে দাম স্বাভাবিক হলে খুচরায় নির্ধারিত দর কার্যকর হবে বলে মনে করেন তারা।
অবন্তিকার এই আত্মহত্যাকে ঘিরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ নিয়ে প্রধান শিরোনাম করেছে নিউ এইজ। এক্ষেত্রে তাদের দ্বিতীয় শিরোনামের দিকে নজর দেয়া যাক।
অপহৃত জাহাজটির আপডেট নিয়ে নিউ এইজের প্রথম পাতার খবর, ‘Hijacked ship keeps moving north from Somali coast’ অর্থাৎ ‘ছিনতাই হওয়া জাহাজ সোমালি উপকূল থেকে উত্তর দিকে এগোচ্ছে’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ছিনতাইকৃত বাংলাদেশী পতাকাবাহী পণ্য বোঝাই জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ শনিবার সোমালিয়া উপকূল থেকে ৫০ নটিক্যাল মাইল উত্তরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার চার দিন পর জাহাজটির ২৩ জন ক্রু সদস্যরা নিরাপদে আছেন বলে জানিয়েছে জাহাজটির মালিকানাধীন কোম্পানি।
মালিক গ্রুপ জলদস্যুদের সাথে ‘আলোচনা’ করতে প্রস্তুত থাকার কথা জানালেও তারা এখনও তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেনি।
শনিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের মূল লক্ষ্য অক্ষত নাবিকদের উদ্ধার করা এবং জাহাজটি ফিরিয়ে আনা।
জাহাজে খাবার ও পানির সরবরাহ কমে যাওয়ায় জিম্মি ক্রুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন তাদের পরিবারের সদস্যরা।
মঙ্গলবার, মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে কয়লা বোঝাই কার্গো নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরের দিকে যাওয়ার সময় জলদস্যুদের একটি দল এমভি আবদুল্লাহর নিয়ন্ত্রণ নেয়।
জাহাজটিতে প্রায় ৫৮ হাজার টন কয়লা ছিল।
শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ঘিরে দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘জনকের জন্মানন্দ’।
এই প্রতিবেদনে শেখ মুজিবকে ঘিরে দুটি খণ্ডে স্মৃতিকথা এবং ইতিহাসের নানা পরিক্রমা তুলে ধরা হয়েছে।
একটি খবরে বলা হয়েছে, একাত্তরের ১৭ই মার্চ ছিল শেখ মুজিবের ৫২ তম জন্মদিন। দেশজুড়ে তখন চলছিল অসহযোগ আন্দোলন।
পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে আলোচনা শেষে নিজ বাসভবনে ফিরে এলে বিদেশি সাংবাদিকরা অনেক প্রশ্নের মধ্যে একটি প্রশ্ন করেন যে বায়ান্নতম জন্মদিনে তার সবচেয়ে বড় পবিত্র কামনা কি।
এর উত্তরে স্বভাবসুলভ কন্ঠে তিনি বলেছিলেন, ‘জনগণের সার্বিক মুক্তি’।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এবং তৎকালীন শেখ মুজিবের ব্যক্তিগত সহকারী তোফায়েল আহমেদ এই কথাগুলো বলেছেন।
খবরটির আরেকটি অংশে আলোকচিত্রী পাভেল রহমান স্মৃতিচারণ করেন। তখন তিনি সাপ্তাহিক একতার ফটোগ্রাফার ছিলেন।
তিনি শেখ মুজিবের ছবি তোলার অ্যাসাইনমেন্ট পেয়ে ১৭ই মার্চ তার বাসভবনে যান।
সেই সময় নানা ঘটনা পরিক্রমার বর্ণনা দিয়েছেন তিনি।
প্রথম আলোর প্রধান শিরোনামও বাজার দর নিয়ে যা অনেকটা সমকালের প্রধান শিরোনামের সাথে মিলে যায়। এক্ষেত্রে তাদের দ্বিতীয় শিরোনামটি ভিন্ন ধরনের।
বিএনপিকে ঘিরে ওই খবরের শিরোনাম করা হয়েছে, ‘কর্মসূচি নেই, তবে যোগাযোগ আছে’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর দুই মাস পার হয়েছে। এখনো যুগপৎ আন্দোলন-কর্মসূচিতে ফেরেনি বিএনপিসহ নির্বাচন বর্জনকারী দলগুলো।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ভোটের পর কর্মসূচি না থাকায় যুগপৎ আন্দোলনে ছন্দপতন হয়েছে।
সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনের মুখেও গত ৭ই জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন করতে পেরেছে ক্ষমতাসীনেরা।
এমন পটভূমিতে বিএনপিসহ যুগপৎ আন্দোলনের অন্য দল ও জোটগুলোতেও কিছুটা হতাশা তৈরি হয়েছে; থমকে গেছে দলগুলোর ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন।
যুগপৎ আন্দোলনের শরিক একাধিক দল ও জোটের দায়িত্বশীল নেতারা জানিয়েছেন, নির্বাচন ঘিরে সারা দেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বড় একটি অংশকে কারাবন্দী করায় আন্দোলনের গতি কমে যায়।
এর জেরে কর্মসূচিতেও ছেদ পড়ে। তবে এ মুহূর্তে যুগপৎ কর্মসূচি না থাকলেও আন্দোলনের প্রধান দল বিএনপির সঙ্গে মিত্র দলগুলোর যোগাযোগ রয়েছে।
এরই মধ্যে একাধিক জোটের সঙ্গে বিএনপির নীতিনির্ধারণী নেতাদের আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়েছে।
এখন ভোট বর্জনকারী বিভিন্ন দল ও জোট যার যার মতো করে কর্মসূচি পালন করছে।
যুগান্তরও প্রধান শিরোনাম করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনার আপডেট নিয়ে। এক্ষেত্রে তাদের প্রথম পাতার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ খবর হল, ‘সাড়ে ১২ কোটি মানুষ পুষ্টিকর খাবার পান না’।
প্রতিবেদনে মূলত, বিশ্বব্যাংকের রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে বিভিন্ন তথ্য তুল ধরেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পণ্যের উচ্চমূল্যের কারণে বাংলাদেশের ১২ কোটি ৫২ লাখ মানুষ প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে পারছেন না। এটি ২০২১ সালের হিসাব।
বর্তমানে এই সংখ্যা আরও বেড়েছে বলে মনে করছে সিপিডি। সংস্থাটি আরও জানায়, চলতি বছরে রাজস্ব আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮২ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি থাকতে পারে।
শনিবার সিপিডির নিজস্ব কার্যালয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতিবারের মতো আগামী অর্থবছরেও সরকার একটি গতানুগতিক বাজেট দিতে যাচ্ছে।
কিন্তু অর্থনীতিকে মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে হলে বাজেটে কাঠামোগত সংস্কার ও মন্ত্রণালয়ের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। ইতোমধ্যে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা হারিয়ে ফেলেছে।
তাই আগামী বাজেটে মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার, রাজস্ব আয় বাড়ানো, সরকারের ব্যয় নিয়ন্ত্রণ, বিভিন্ন খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে মধ্যমেয়াদি সংস্কার এবং সামাজিক নিরাপত্তায় গুরুত্ব আরও বাড়ানো।
প্রতিবেদনে সাম্প্রতিক এক গবেষণার বরাতে বলা হচ্ছে, সম্প্রতি বহু শিশুর শরীরে থাকা জীবাণু অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে উঠছে বলে চিকিৎসা করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের মে পর্যন্ত সাত মাস এ গবেষণাটি চালিয়েছে।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ১২টি বিশেষায়িত (টারশিয়ারি) সরকারি হাসপাতালের ১৩ হাজারের বেশি রোগীর নমুনা পরীক্ষা করে এক হাজার ১৪৯টিতে বহু ওষুধ প্রতিরোধী জীবাণু পাওয়া যায়।
যথেচ্ছ ওষুধ প্রয়োগ ছাড়াও প্রকৃতি-পরিবেশ ও খাদ্য থেকে মানুষের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক প্রবেশ করা এর অন্যতম কারণ বলে ওই গবেষণায় তুলে ধরা হয়।
অনেক ক্ষেত্রে পোলট্র্রি, মাছ ও গরু-খাসির খামারে পশুর চিকিৎসায় অনিয়ন্ত্রিতভাবে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়।
ওই গবেষণায় অনুযায়ী, বাংলাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের মধ্যে আট দশমিক ৬১ শতাংশ বহু ওষুধ প্রতিরোধী (মাল্টিড্রাগ রেজিস্ট্যান্স বা এমডিআর) ব্যাকটেরিয়া বহন করছে।
গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ২০ বছরের কম বয়সী রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৯ দশমিক দুই শতাংশ ওষুধ প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার অস্তিত্ব রয়েছে।
২০ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের মধ্যে এর হার ২৮ দশমিক চার শতাংশ । ৪০ থেকে ৬০ বছর বয়সীদের মধ্যে তা ২৫ শতাংশ। ১৮ শতাংশের বয়স ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে।
বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, ‘More power plants than needed’ অর্থাৎ ‘প্রয়োজনের চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ কেন্দ্র’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিদ্যুতের চাহিদা না বাড়লেও, ভোক্তাদের ওপর অতিরিক্ত মূল্যের বোঝা চাপিয়ে দিয়ে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো অব্যাহত রেখেছে বলে জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান ২০১৬-এ বিদ্যুতের চাহিদা ২০২৪ সালে ২০ হাজার ১২৯ মেগাওয়াট হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল।
বাস্তবে, এ বছর বিদ্যুতের সর্বোচ্চ প্রাক্কলিত চাহিদা ১৭ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট। বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৬ হাজার ৮৪৪ মেগাওয়াট।
উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির কারণে সরকারকে উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণের চেয়ে বেশি ব্যয় করতে হবে বলে জানিয়েছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের গবেষণা পরিচালক খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
উৎপাদন খরচ মেটাতে, সরকারকে বারবার বিদ্যুতের দাম সামঞ্জস্য করতে হবে — এখানে ভোক্তাদের দোষ নেই,” তিনি বলেছিলেন।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের ভাইস-প্রেসিডেন্ট এম শামসুল আলম বলেন, ত্রুটিপূর্ণ সিস্টেম, ভুল নীতি এবং অতিরিক্ত ক্ষমতার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ বেড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভারতের মতো বাংলাদেশও এখন সৌরসহ নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোয় নানা প্রকল্প গ্রহণ ও অনুমোদন দেয়া হচ্ছে।
এরই অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার খুলনা, মৌলভীবাজার ও রাজবাড়ী জেলায় মোট ৩০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার তিনটি (প্রতিটির সক্ষমতা ১০০ মেগাওয়াট) সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ ক্রয়ের চুক্তিতে অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
এসব কেন্দ্র থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কিনতে খরচ পড়বে ১০ টাকা ৯২ পয়সা। এতে সরকারের মোট খরচ হবে ১০ হাজার ৬১২ কোটি ৮০ লাখ টাকার মতো।
এ নিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে এখনো সৌরবিদ্যুতের ইউনিটপ্রতি মূল্য প্রতিবেশী ভারতসহ অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি।
ভারতের বিদ্যুৎ খাতে তীব্র প্রতিযোগিতা থাকায় সেখানকার কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে কম দামে বিদ্যুৎ ক্রয় করা সম্ভব হচ্ছে।
আর বাংলাদেশে যথাযথ প্রতিযোগিতা গড়ে না ওঠায় এখানে প্রতি ইউনিট সৌরবিদ্যুতে খরচ পড়ছে ভারতের চেয়ে ছয় থেকে সাত টাকা বেশি।