কান্তজিউ মন্দিরের জমিতে নির্মাণ হচ্ছে মসজিদ শিরোনাম দৈনিক কালবেলা পত্রিকার।এ খবরে বলা হয়েছে, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে দিনাজপুরের কাহারোলে পুরাকীর্তি সমৃদ্ধ ও ঐতিহ্যবাহী কান্তজিউ মন্দিরের জমিতে মসজিদ নির্মাণের অভিযোগ তোলা হয়েছে।
এ খবরে বলা হয়েছে, দিনাজপুরের একজন সংসদ সদস্য পহেলা মার্চ মসজিদ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন।
তবে, এর নির্মাণকাজ বন্ধ চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন দিনাজপুর রাজ দেবোত্তর এস্টেটের এজেন্ট রণজিৎ কুমার সিংহ।
দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. জাকারিয়া জাকা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় তিনি বিষয়টি জানতেন না বলে উল্লেখ করে কালবেলাকে বলেছেন, “বিষয়টি জেলা প্রশাসন দেখভাল করছে, এ ব্যাপারে সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে এর সঙ্গে আমি একমত থাকব। যারা জমির বৈধ মালিক তাদের পক্ষে থাকতে আমার কোনও দ্বিমত নেই।”
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে বাংলাদেশের ক্যাম্পে থাকা সশস্ত্র রোহিঙ্গা সংগঠনগুলোর কেউ কেউ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আরাকান আর্মির সাথে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করছে।
সীমান্তের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সীমান্তে বসবাসকারীদের ক্ষোভের কথা উল্লেখ করে জানানো হচ্ছে কোনও কোনও সংগঠন মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ফেলে যাওয়া অস্ত্রগুলো নিয়ে বাংলাদেশে আবার প্রবেশ করছেন ।
এমন ২৩ জনকে আটকের পর বিজিবির হেফাজত থেকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর প্রধান কারণ হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে ডলারের বিপরীতে টাকার বড় ধরনের অবমূল্যায়নকে। ডলারের দাম বৃদ্ধির সাথে আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় পণ্যের দাম বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বলা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম যেটুকু কমেছে, তার একটি অংশ টাকার মানের সঙ্গে সমন্বয় হয়েছে।
এছাড়া রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পণ্যের সরবরাহে বাধা, দেশে জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি এবং দেশীয় বাজার ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণেও পণ্যের দাম বেড়েছে।
বাজারে ডলারের সংকটের কারণে চাহিদা অনুযায়ী পণ্য আমদানি করা যাচ্ছে না। ফলে সরবরাহ সংকট এবং মজুত কমাও একটি কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ যেটি এবছর ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
বিএনপির প্রকাশ্যে ভারতবিরোধী অবস্থান নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা ও প্রশ্নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে খবরটিতে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কূটনীতিকদের অনেকে দলটির এই অবস্থানের সঙ্গে মালদ্বীপে ভারতবিরোধী তৎপরতার মিল দেখছেন।
যদিও বিএনপির এমন কর্মসূচির কার্যকারিতা নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়েছে বিভিন্ন দিক থেকে।
যেমন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলছেন মালদ্বীপের সাথে বাংলাদেশের মিল নেই এবং এধরনের কর্মসূচিতে লাভ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগেরই হবে।
কারণ বিএনপির ‘ভারতবিরোধী তথা পাকিস্তানপন্থী’ ভাবমূর্তি যেটা আগে থেকেই আওয়ামী লীগ বলে আসছিল, সেটি আবারও ভারতের কাছে তুলে ধরতে পারবে তারা।
গত বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী নিজের গায়ে থাকা ভারতীয় চাদর জনসমক্ষে রাস্তায় ছুড়ে ফেলে ভারতীয় পণ্য বর্জনের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন।
শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন সাতই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভারতের অবস্থান জন-আকাঙ্ক্ষার বিপক্ষে থাকার প্রেক্ষাপটে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
এনিয়ে প্রতিক্রিয়া এসেছে আওয়ামী লিগ থেকেও।
দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপির দিকে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির অভিযোগ তুলেছেন এবং বলেছেন ভারতীয় পণ্য বর্জনের নামে বিএনপি দেশের বাজারব্যবস্থাকে অস্থির করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
বাণিজ্য বিভাগের হালনাগাদকৃত তথ্য থেকে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হচ্ছে চলতি অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে আগের বছরের তুলনায় কম খাদ্যশস্য আমদানি করা হয়েছে।
এর পেছনে মূলত ভারত সরকারের নানা বিধিনিষেধকেই মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে। পাশাপাশি ডলার সংকটও আমদানি কমার আরেকটি কারণ।
এ প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, পূর্ব ইউরোপের দেশ রোমানিয়ায় সাড়ে তিন বছরে ৩৫ হাজারের বেশি শ্রমিক পাড়ি দেন।
সহজে ভিসা প্রাপ্তি এবং কাজের সুযোগ থাকায় বাংলাদেশের শ্রমিকদের পছন্দের গন্তব্য হয়ে ওঠা দেশটির অস্থায়ী ভিসা সেন্টারও স্থাপন করা হয় বাংলাদেশে।
যদিও জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হঠকারী আচরণ, বিভিন্ন রিক্রুটিং এজেন্সির খামখেয়ালি এবং অতি লোভের পাশাপাশি শ্রমিকদের মধ্যেও পশ্চিম ইউরোপে পাড়ি জমানোর প্রবণতার কারণে কিছুদিনের মধ্যেই হোঁচট খায় সেই উদ্যোগ।
বন্ধ হয় ভিসা সেন্টার, যেসব শ্রমিক ভিসা পেয়েছেন তারা বিএমইটির কিছু কর্মকর্তার খামখেয়ালিতে যথাসময়ে যেতে পারছেন না রোমানিয়ায়।
অন্যদিকে সিন্ডিকেটের জালে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার ফের বন্ধ হওয়ার উপক্রম বলা হচ্ছে এ প্রতিবেদনে।
ধারণক্ষমতার চেয়েও প্রায় ছয় গুণ যানবাহন চলাচলের কারণে ঢাকায় পরিবেশ দূষণ তীব্র।আর ভয়াবহ বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ, গাড়ির চালক ও পথচারীতে আইন না মানার প্রবণতা এসব মিলে বাড়তি চাপ পড়ছে ট্রাফিক পুলিশের উপর যারা মেট্রোপলিটন শহরে এবং হাইওয়েতেও দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে ডিউটি করেন।
এতে করে শ্বাসকষ্ট, টিবি কিডনি, হার্ট, কান, চর্মরোগ ও মস্তিষ্কসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে জটিল সমস্যা হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হচ্ছে প্রতিবেদনে।
বৈরি আবহাওয়া এবং শৌচাগার না থাকাও তাদের জন্য বাড়তি জটিলতা সৃষ্টি করে। অথচ বেশ কম বেতনেই তাদের কাজ করতে হয়।
ট্রাফিক পুলিশকে মাত্র আড়াই হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হয় বলে উল্লেখ করেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।
26 items selling at higher prices শিরোনাম দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার, অর্থাৎ ২৬টি পণ্য বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে গত সপ্তাহে সরকার ২৯ টি খাদ্যদ্রব্যের দাম বেঁধে দিলেও ব্যবসায়ীরা তার মধ্যে ২৬টিই নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করছে।
বলা হয়েছে, ১৫ই মার্চে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের নির্ধারিত দামে শুধুমাত্র ডিম, কাতলা মাছ এবং পেঁয়াজ বিক্রি হয়।
সোনালী মুরগীর দাম যেখানে ২৬২ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হয়েছিল সেখানে কয়েকটি বাজারে প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা দেখা গেছে।
মসুর, মুগ বা মাসকলাইয়ের মতো বিভিন্ন ধরনের ডাল প্রতি কেজি দাম সীমার চেয়ে ৫-৩৫ টাকা বেশি।
দোকানদাররা জানাচ্ছেন তারা বেশি দামে পণ্য কেনেন এবং নির্ধারিত দাম মেনে চললে তারা ব্যবসা চালাতে পারবেন না।
সীমিত এবং নিম্ন আয়ের পরিবারের লোকেরা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামের কারণে হিমশিম খাচ্ছেন।
Gas cylinder leakage, bad handling put lives at risk শিরোনাম নিউ এজ পত্রিকার। গ্যাসের সিলিন্ডার লিক বা ত্রুটিপূর্ণ থাকা এবং সঠিকভাবে ব্যবহার না করাইয় জীবনের ঝুঁকি সৃষ্টি হচ্ছে উল্লেখ করা হচ্ছে প্রতিবেদনে।
ঢাকা এবং গাজীপুরে সাম্প্রতিক গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বড় অগ্নিকান্ডের ঘটনা আবারও সেই বিপদের কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে।
ঢাকার মালিবাগে শাহজালাল হোটেলে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে সৃষ্ট আগুনে চারজন গুরুতরভাবে দগ্ধ হয়েছেন। ১৩ই মার্চে গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন।
গত বছর মানে ২০২৩ সালে এমন ২১০ টি অগ্নিকান্ডের ঘটনা নথিভুক্ত করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স যাতে অন্তত ৪ জন নিহত ও ২৩ জন আহতের ঘটনা ঘটেছে। ২০২২ সালে এমন ঘটনা ঘটেছে ১৪ টি, ২০২১ সালে ৫৭ টি, এবং ২০২০ সালে ৩৯ টি।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ ইয়াসির আরাফাত খান প্রতিবেদনে জানান যে তারা লক্ষ্য করেছেন বেশির ভাগ আগুন বা বিস্ফোরণের ঘটনা সিলিন্ডারের লিকেজ থেকেই ঘটেছে।
এজন্য নিম্নমানের বার্নার এবং রান্না করার সামগ্রীকে দায়ী করেন তিনি।