আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে আশা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য সংস্থাটি নানা সচেতনতামূলক কার্যক্রমও হাতে নেবে।
গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ। ইতিমধ্যে আগামী মে থেকে চার ধাপে দেশের সাড়ে চার শতাধিক উপজেলা নির্বাচনের সময় ঘোষণা করেছে কমিশন।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ স্থানীয় এই নির্বাচন নিয়ে বলেন, ভোটারদের উদ্বুদ্ধমূলক কার্যক্রম- যেমন টিভিসি, বিভিন্ন প্রচার কার্যক্রম, উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচারের মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা আশা করি স্থানীয় এ সরকার নির্বাচনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের থেকে ভোটার উপস্থিতি বেশি থাকবে।
কেননা, কমিশনের পাশাপাশি স্থানীয় যারা জনপ্রতিনিধি থাকে তারাও ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করে থাকে।
উপজেলা নির্বাচনে কোনো চ্যালেঞ্জ কমিশন দেখছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো নির্বাচনই চ্যালেঞ্জ না, আবার কোনো নির্বাচনকে নির্বাচন কমিশন ছোট করে দেখে না।
সব নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন যথাযথ প্রস্তুতি নেয়।
ভোটে প্রথমবারের মতো রঙিন পোস্টার ছাপানোয় আইনি ব্যবস্থা রাখার বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, এখন সাদা কালো পোস্টার ছাপানো বেশি কষ্টকর। আজ থেকে পনেরো বছর আগে সাদা কালো পোস্টার ছাপানোর আইনটা করা হয়েছিল, তখন রঙিন পোস্টার ছাপানো ছিল কষ্টকর। আর এখন সাদাকালো পোস্টার ছাপাতে গেলে বেশি সমস্যা হচ্ছ। কারণ অনেক প্রেসে সাদা কালো পোস্টার ছাপানোর ব্যবস্থা থাকে না। বিষয় বিবেচনা করে রঙিন পোস্টার ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল।
নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।
মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোট গ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।