এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার অনুযায়ী যে পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআই আসার কথা ততটা আসছে না। এফডিআই বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এরপরও গত অর্থবছর আগের বছরের চেয়ে বিনিয়োগ এসেছে কম।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত ২৭ বছরের যে হিসাব পাওয় যায় তাতে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশে বিনিয়োগে সবচেয়ে এগিয়ে যুক্তরাজ্য। এরপরই আছে যুক্তরাষ্ট্র।
আর তালিকায় উদীয়মান পরাশক্তি চীন রয়েছে পাঁচে ও ভারত রয়েছে নয় নম্বরে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, যুক্তরাজ্যের পর রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপর নেদারল্যান্ড। তালিকায় চারে রয়েছে সিংঙ্গাপুর, পাঁচে চীন, ছয়ে দক্ষিণ কোরিয়া, সাতে হংকং, আটে নরওয়ে, নয়ে ভারত আর দশে জাপান।
শেয়ারবাজারে হাহাকার – কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম এটি। এতে বলা হচ্ছে, কোনোভাবেই থামছে না শেয়ারবাজারের দরপতন। ফ্লোর প্রাইস তোলার পর থেকে থেমে থেমে নিয়মিত পতন হচ্ছে সূচকের।
ধারাবাহিক দরপতনে গত ৩ মাসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূলধন কমেছে ৮৮ হাজার ৩৪৩ কোটি টাকা। এ সময় বাজারের ৮৩ শতাংশ কম্পানি ও ফান্ডের দর কমেছে। পুঁজি হারিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শুরু হয়েছে হাহাকার।
শেয়ারবাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সার্বিক অর্থনৈতিক সংকট, ব্যাংক একীভূতকরণ, সুদের হার বৃদ্ধি এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির সঙ্গে তাল মেলাতে না পারায় শেয়ারবাজারে নিয়মিত দরপতন হচ্ছে। এর ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সংকট প্রকট হয়েছে। ফলে নতুন বিনিয়োগও আসছে না।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল সরকারি ভর্তুকি কমিয়ে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও সারের দাম বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে এবং বাড়তি অর্থ সামাজিক নিরাপত্তা প্রোগ্রামে খরচ করার সুপারিশ তাদের। বর্তমানে সফররত আইএমএফ মিশন অর্থ মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে এই প্রোগ্রামে আরও বেশি দরিদ্রদের অন্তর্ভুক্ত করা ও তাদের মাসিক ভাতার আওতায় আনার কথাও বলে।
খাবার কেনার সামর্থ্য থাকবে না পৌনে দুই কোটি মানুষের – খাদ্য নিরাপত্তা প্রসঙ্গে দেশ রূপান্তরের শিরোনাম এটি। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, সামনের দিনে সাইক্লোন প্রভৃতি বড় জলবায়ু দুর্যোগের শঙ্কা রয়েছে বাংলাদেশের। এ কারণে ফসলের উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে; খাদ্যদ্রব্যের এখনই উচ্চমূল্য, এটি আরও বাড়তে পারে। অর্থনীতিতে এখন যে সংকট রয়েছে, তাতে বাংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের খাদ্যের জোগান আরও কঠিন হবে।
চলতি বছরের এপ্রিল-অক্টোবর সময়ে দেশের ১ কোটি ৭৩ লাখ মানুষ খাদ্যসংকটে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি পেজ ক্ল্যাসিফিকেশন আইপিসি। এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে এ-বিষয়ক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। তারা জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অরগানাইজেশনের (এফএও) সঙ্গে যৌথভাবে সারা বিশ্বে কাজ করে।
সংস্থাটি বলছে, এপ্রিল-অক্টোবর সময়ে খাদ্য কেনা নিয়ে চাপে থাকবে ২ কোটি ৮৫ লাখ মানুষ, খাদ্যসংকটে পড়বে ১ কোটি ৫৭ লাখ ৪৫ হাজার মানুষ। তীব্র সংকটে পড়বে ৭ লাখ ৮৫ হাজার মানুষ। খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার বাইরে বা নিরাপদ অবস্থানে থাকবে ২ কোটি ৯২ লাখ ৫১ হাজার মানুষ।
মাঠ পর্যায়ে আলু উৎপাদন কমেছে – বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম এটি। বলা হয় চলতি অর্থবছরে ১ কোটি ১৬ লাখ টন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরেছিল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই)। যদিও প্রতিকূল আবহাওয়া ও কৃষকদের সময়ের আগেই আলু উত্তোলন করে বিক্রি করে দেয়ার প্রবণতায় সে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ডিএইর হিসাবে চলতি অর্থবছরে দেশে আলু উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ৯ লাখ ৬৩ হাজার টনের কিছু বেশি। সে অনুযায়ী দেশে এবার সরকারি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৬ লাখ ৩৭ হাজার টন কম আলু উৎপাদন হয়েছে। যদিও দেশে এবার কৃষিপণ্যটির প্রকৃত উৎপাদন সরকারি হিসাবের চেয়ে অনেক কম হয়েছে বলে দাবি করছেন হিমাগার মালিকরা।
Barring miracle, record of 76yrs breaks today – উচ্চ তাপমাত্রা নিয়ে ডেইলি স্টারের খবর। বলা হয় এ মাসে অন্তত ২৩দিন ছিল হিটওয়েভ, যা ২০১৯ সালে সারা বছরে হিটওয়েভের রেকর্ডের সমান।
কোনো রকম ব্যতিক্রম ছাড়া আজও আরেকটা হিটওয়েভ পার করছে বাংলাদেশ। আর এভাবে চললে এক বছরে হিটওয়েভের গড়া ১৯৪৮ সালের রেকর্ডও ভেঙে যেতে পারে।
লোডশেডিংয়ে দুর্ভোগ চরমে – মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম এটি। বলা হয় দেশে চলমান দাবদাহের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করছে সর্বত্র। গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। তাই চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ঘাটতি থাকায় চলছে বিদ্যুতের লোডশেডিং।
ঢাকায় লোডশেডিং কম হলেও গ্রামগঞ্জে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ মানুষ। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গতকাল বিকাল ৩টায় সারা দেশে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং করতে হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ এ হিসাব দিলেও প্রকৃত লোডশেডিং আরও বেশি বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
এদিকে, রেকর্ড বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিনও (২২শে এপ্রিল) সারা দেশে বিশেষত গ্রামাঞ্চলে গড়ে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা লোডশেডিং হয়েছে। ঈদুল ফিতরের পর কয়েকদিন চাহিদা কম থাকায় সাময়িক স্বস্তি থাকলেও গত এক সপ্তাহ ধরে লোডশেডিং বাড়ছেই। গত কয়েকদিনে তা চরম আকার ধারণ করেছে।
চুয়েট দিনভর উত্তাল রাতে আন্দোলন স্থগিত – সমকালের শিরোনাম। খবরে বলা হয় বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) বন্ধ ঘোষণার পর আন্দোলন স্থগিত করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশসানের সঙ্গে বৈঠক শেষে আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানান শিক্ষার্থীরা।
এর আগে রাত নয়টা থেকে ১১টা পর্যন্ত উপাচার্য ও উপ- উপাচার্যের সঙ্গে আন্দোলনকারী ২০ শিক্ষার্থী বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠক শেষে অবরোধ তুলে নেওয়া হলে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে যান চলাচল শুরু হয়। এছাড়াও ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত জানান তারা।
সড়কে যেন হত্যাকাণ্ড চলছে – প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম। বলা হয় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিনই মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। সরকারি সংস্থা বিআরটিএর হিসাবেই এবারের ঈদযাত্রায় মৃত্যু হয়েছে ৩২০ জনের, যা গত বছরের ঈদযাত্রার চেয়ে ১৯ শতাংশ বেশি। একেকটি মৃত্যু শোকগ্রস্ত করেছে স্বজনদের, অসহায় করেছে পরিবারগুলোকে। ফিটনেসবিহীন যান, লাইসেন্সবিহীন চালক, ক্লান্তি নিয়ে গাড়ি চালানো, অবৈধ যানবাহন— ইত্যাদি কারণেই সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ঘটছে মানুষের।
বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকাসহ চার জেলায় হিট স্ট্রোকে ট্রাফিক পুলিশ ও শিক্ষার্থীসহ চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এ নিয়ে গেল ছয় দিনে গরমে ৩৪ জনের প্রাণহানি হল। সংশ্লিষ্টরা বলছেন চলমান তাপপ্রবাহের কারণে ভূপৃষ্ঠ চরম উত্তপ্ত যা শীতল করতে বা তাপমাত্রা কমাতে টানা বৃষ্টির প্রয়োজন। কিন্তু আপাতত বৃষ্টির কোনো সুখবর নেই।
মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব নিয়ে শঙ্কিত ডিসি-এসপিরা – উপজেলা নির্বাচন ঘিরে খবরটি ছেপেছে দৈনিক ইত্তেফাক।
এতে বলা হয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপাররা। মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে কোন ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হলে নির্বাচন কমিশন তাদের পাশে থাকবে কি-না সে ব্যাপারে স্পষ্টত জানতে চান তারা। জবাবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপক্ষে নির্বাচনের স্বার্থে নেওয়া যে কোন পদক্ষেপের সঙ্গে কমিশন অবশ্যই পাশে থাকবে বলে জানায়। বৃহস্পতিবার ষষ্ঠ উপজেলা ভোট নিয়ে মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের এক সভায় এসব কথা উঠে আসে বলে বৈঠক সূত্রে জানা যায়।
Dhaka seeks 2-year extension for Rooppur nuke plant loan repayments, অর্থাৎ রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের ঋণ পরিশোধে জন্য দুই বছর সময় বাড়াতে বলেছে ঢাকা।
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের করা প্রধান শিরোনামে বলা হচ্ছে- বাংলাদেশের প্রথম এই পারমাণবিক কেন্দ্রে প্রাথমিক যে ঋণ ১২.৬৫ বিলিয়ন ইউএস ডলার যা রাশিয়া রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উন্নয়নের জন্য দিয়েছে, সেটির পরিশোধের সময় দুই বছর বাড়াতে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এতদিন এই ঋণের প্রথম কিস্তি পরিশোধের কথা ছিল ১৫ই মার্চ, ২০২৭ সালে, এখন সরকার সেটাকে দুই বছর বাড়িয়ে ১৫ই মার্চ ২০২৯ সালে নেয়ার কথা বলছে।