ছবির ক্যাপশান, শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগে দুর্নীতি মামলা এবং তার রায় নির্বাচনী ময়দানে বড় ইস্যু।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নির্বাচনী প্রচারণায় পশ্চিমবঙ্গে এসে এক জনসভায় এ রাজ্যে নানা অনিয়ম দুর্নীতির জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে নিশানা করেছেন। অন্যদিকে মমতা ব্যানার্জিও আরেকটি জনসভায় নরেন্দ্র মোদীর কড়া সমালোচনা করেছেন।
নরেন্দ্র মোদী এমন এক সময়ে পশ্চিমবঙ্গে জনসভা করলেন যখন রাজ্যটিতে শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির মামলায় প্রায় ২৬ হাজার ব্যক্তি চাকরি হারিয়েছে। এনিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
ভারতে দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের আওতায় উত্তরবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসনে শুক্রবার ভোটের মাঝেই মালদার জনসভা থেকে তৃণমূলকে নিশানায় রেখে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন ‘শিক্ষকদের’ এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী ওই দল (তৃণমূল)।
তার দাবি, সারদা, ‘রোজ ভ্যালি চিট ফান্ড’ থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ পর্যন্ত একের পর এক দুর্নীতিতে জড়িয়েছে মমতার দল এবং তার ‘মাশুল গুনতে’ হয়েছে সাধারণ মানুষকে।
ঠিক একই ঘটনা ঘটেছে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রেও। হাই কোর্টের রায়ে ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশন- এর পুরো নিয়োগ বাতিলের প্রসঙ্গ টেনে মি. মোদী বলেছেন, “টিএমসি শিক্ষকদেরও ছাড়েনি। ওদের জন্য ২৬ হাজার পরিবারের রুজিরুটি শেষে হয়ে গেল।”
জানিয়েছেন, যে প্রার্থীরা ঋণে জর্জরিত হয়েও চাকরির আশায় টাকা দিয়েছিলেন সেই অর্থ ফেরত দেওয়ার বোঝাও তাদেরই মাথায় রয়েছে।
অন্যদিকে, চাকরি বাতিলের জন্য আবারও বিজেপিকেই দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। শুক্রবার মেদিনীপুরের নির্বাচনী জনসভা থেকে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলে বলেছেন, তারা (বিজেপি) চাকরি হারাদের দুর্দশার জন্য দায়ী। রাজ্য কিন্তু চাকরি হারাদের পাশেই আছে।
কলকাতা হাইকোর্টের রায় দেবার পর থেকেই তৃণমূল নেত্রী বিজেপিকেই দুষে এসেছেন চাকরি বাতিলের জন্য।
আদালতের রায়কে ঘিরে বিচার ব্যবস্থাকে বারবার আক্রমণ করেছেন তিনি। যে কারণে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।
প্রসঙ্গত, শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি মামলায় চাকরি হারাদের অনেকেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছেন নিজেদের ‘যোগ্যতার’ প্রমাণসহ।
বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন:
ছবির উৎস, NARENDRA MODI/FACEBOOK
ছবির ক্যাপশান, বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তৃণমূলকে নিশানায় রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী।
‘তৃণমূলের জন্য রুটিরুজি শেষ’
এই লোকসভা নির্বাচনে উন্নয়ন, বেকারত্ব, মুল্যবৃদ্ধির মতো বিষয়ের পাশাপাশি দুর্নীতিও একটা বড় বিষয়।
গত কয়েক বছরে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে সে কথা বারে বারে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং বিজেপির অন্যান্য নেতারা।
লোকসভা নির্বাচনের দিন-ক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পর থেকে শুক্রবারের সভা মিলিয়ে মোট নয়বার পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রতিবারই তার বক্তব্যের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা একের পর এক অভিযোগ, নারী সুরক্ষার প্রসঙ্গ।
এই রাজ্যে যে নারীরা সুরক্ষিত নন তা বারবার উল্লেখ করেছেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালির নারী নির্যাতনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূলের শেখ শাহজাহান এবং তার অনুগামীদের কথাও ঘুরে ফিরে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে।
তবে দেশে দ্বিতীয় দফা ভোটের আবহে শুক্রবার মালদহের জনসভায় তার বক্তৃতায় অন্যান্য ‘ইস্যুর’ পাশাপাশি যোগ হল শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতির প্রসঙ্গ।
যে মামলায় চলতি সপ্তাহের সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট ২০১৬ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশন আয়োজিত শিক্ষক নিয়োগ এবং অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের প্যানেলকে বাতিল ঘোষণা করে।
এর ফলে প্রায় ২৬ হাজার ব্যক্তির চাকরি যায়। এর পাশাপাশি মেয়াদোত্তীর্ণ প্যানেলের বা বেআইনি ভাবে নিযুক্তদের ১২ শতাংশ সুদসহ বেতন ফেরত দেওয়ার নিদেশ দেওয়া হয়েছিল।
আগামী সাতই মে মালদহে নির্বাচনের আগে ভোটারদের সে কথা আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
সারদা কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে রোজভ্যালি, পুর সভায় নিয়োগ, পশু কেলেঙ্কারি, রেশন কেলেঙ্কারির মতো একের পর এক দুর্নীতির কথা মনে করিয়ে দিলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “টিএমসির রাজত্বে একটাই জিনিস চলে। সেটা হল হাজার কোটি টাকার স্ক্যাম। সারদা চিটফান্ড স্ক্যাম, রোজভ্যালি স্ক্যাম, পশু পাচার কেলেঙ্কারি, পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি, রেশন কেলেঙ্কারি- একের পর এক ঘোটালাই হয়ে চলেছে।”
ছবির উৎস, NARENDRA MODI/FACEBOOK
ছবির ক্যাপশান, শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি মামলায় চাকরি হারাদের পরিস্থিতির জন্য তৃণমূলকেই দান করেছেন নরেন্দ্র মোদী।
“দুর্নীতি টিএমসি করে আর ভুগতে হয় রাজ্যের সাধারণ মানুষকে। এমন কোনও কাজ নেই যেটা কাট মানি ছাড়া হয়। এমন কী এরা কৃষকদের ছাড়েনি। তারা (কৃষকরা) বাজারে এক কুইন্ট্যাল গম বিক্রি করতে যান আর তার একটা বড় অংশ মধ্যস্থতাকারীরা নিয়ে নেয়।এরা শিক্ষকদেরও ছাড়েনি।”
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “এখানে যুবসম্প্রদায়ের ভবিষ্যতের সঙ্গে টিএমসি ছেলেখেলা করে। এরা এত বড় শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি ঘটাল যার কারণে ২৬ হাজার পরিবারের রুজিরুটি শেষ হয়ে গেল। আর ঋণ নিয়ে টাকার জোগাড় করে যে তৃণমূলের লোকেদের দিয়েছিল সেটার বোঝাও তাদেরই (প্রার্থীদের) মাথায় চেপেছে।”
বিজেপি যে যুবসম্প্রদায়ের পক্ষে আছে এবং মমতা ব্যানার্জীর অভিযোগ ঠিক নয় তা প্রমাণ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, কেন্দ্র সরকার চাকরির ব্যবস্থা করতে সচেষ্ট।
“কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য যে টাকা আমি পাঠাই সেটা তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রী আর তোলাবাজরা খেয়ে নেয়। আর যে যোজনাগুলো রাজ্যে সরাসরি চালু করতে চাই সেটা দেয় না,” বলেছেন নরেন্দ্র মোদী।
রাজ্যে যে নারীরা নিরাপদ নয় এবং পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন সরকার অভিযুক্তদের বাঁচাতে সচেষ্ট সে প্রসঙ্গও এনেছেন আজ।
তিনি বলেছেন, “মা, মাটি মানুষের কথা বলে যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তারা নারীদের সঙ্গে অবিচার করেছে। সন্দেশখালিতে নারীদের উপর যে অত্যাচার হয়েছে সে বিষয়ে কিছুই করেনি বরং অভিযুক্তকে বাঁচানোর চেষ্টা করে এসেছে। মালদাতেও একটা লজ্জাজনক ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু টিমসি কিছু করেনি।”
ছবির উৎস, MAMATA BANERJEE/FACEBOOK
ছবির ক্যাপশান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী অবশ্য বিজেপিকেই দায়ী করেছেন চাকরি হারাদের দুরবস্থার জন্য।
‘বিজেপি চাকরি খেয়েছে’
শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের ঘাটাল কেন্দ্রের পিংলাতে জনসভা ছিল মমতা ব্যানার্জী। নরেন্দ্র মোদীর অভিযোগের পাল্টা জবাব দিয়েছেন তিনি, তোপ দেগেছেন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন চাকরিহারাদের পাশেই রয়েছে রাজ্য সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী থাকতে ‘কারও চাকরি যাবে না’। উল্টে বিজেপি ‘চায় না’ পশ্চিমবঙ্গের যুবসম্প্রদায় চাকরি পাক।
মেদিনীপুরের জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বলেন, “গ্রামগঞ্জে মানুষ বলে মানুষখেকো বাঘ। চলতি ভাষা… আপনারা মানুষ খেকো বাঘ দেখেছেন, চাকরি খেকো মানুষ দেখেছেন? চাকরি খেকো বিজেপি পার্টি দেখেছেন? চাকরি খেকো সিপিএম পার্টি দেখেছেন? চাকরি খেকো রাম-বাম-শাম দেখেছেন”
এর পাশাপাশি বেতন ফেরত দেওয়ার প্রসঙ্গ এনে বলেন, “২৬,০০০ জনের চাকরি খেয়েছে আবার বলছে ১২ শতাংশ সুদ সমেত ফেরত দিতে হবে! মগের মুলুক।”
রাজ্য সরকারের সদিচ্ছা এবং চাকরিহারাদের পাশে রয়েছে তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন। “যারা ২৬০০০ জনের চাকরি খেয়ে নেয়, তাঁদের ছেড়ে দেব? তাঁদের বিরুদ্ধে সব মানুষ এক হন। এভাবে কারও চাকরি খাওয়া যায় না। যদি কোনও ত্রুটি থাকে তাহলে সংশোধন করে নেব।”
ইতিমধ্যে চাকরিহারাদের এপ্রিল মাসের মাইনে দেওয়ার ঘোষণাও ইতিমধ্যে করা হয়েছে।
ছবির উৎস, AFP
ছবির ক্যাপশান, বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্মীয় মেরুকরণের অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
অন্যদিকে, তৃণমূলের পক্ষ থেকে একাধিকবার দাবি করা হয়েছে এসএসসির তরফে আদালতকে হলফনামা দিয়ে জানানো হয়েছিল কারা ‘অযোগ্য’ প্রার্থী এবং কারা ‘যোগ্য’। তা সত্ত্বেও পুরো প্যানেলকেই বাতিল করে দাওয়া হয়েছে।
সে বিষয়ে বলতে গিয়ে মমতা ব্যানার্জী বলেন, “সে (যাদের চাকরি বাতিল হয়েছে)তো শ্রম দান করেছে। শ্রমের টাকা আপনি নেবেন কীকরে?”
এর পাশাপাশি একসঙ্গে এত শিক্ষক চলে গেলে স্কুল কীভাবে চলবে সে বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, “এত শিক্ষক চলে গেলে বাচ্চারা পড়বে কীভাবে? স্কুল কীভাবে চলবে? আরএসএস দিয়ে স্কুল চালাবে?”
অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগ
দুপক্ষের নির্বাচনী প্রচারের ময়দানে এসেছে ইন্ডিয়া জোটের প্রসঙ্গও। প্রধানমন্ত্রী একদিকে দাবি করেছেন তৃণমূল এবং কংগ্রেসের জোটের মূল হচ্ছে ‘তুষ্টির’ রাজনীতি।
তিনি বলেন, “তৃণমূল আর কংগ্রেসের জোটের মূল কারণ হল তুষ্টিকরণ। এর জন্য তারা সবকিছু করতে পারে। ইন্ডি জোট বলে কাশ্মীরে ৩৭০ আবার চালু করবে। আর কংরেস-তৃনমূল বলছে সিএএ চালু হতে দেবে না।”
“আপনারা বলুন অন্য দেশে অত্যাচারিত হিন্দুরা কোথায় যাবে? তারা কী করবে? তাঁদের উপর অত্যাচার হয়। মেয়েদের ধর্মান্তরিত করে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয় তারা কী করবে?”
অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী প্রথম থেকেই বলে এসেছেন এই রাজ্যে কিছুতেই সিএএ চালু হতে দেবেন না।
এর পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্মীয় মেরু করণের অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত বিজেপির তরফে একাধিকবার অভিযোগ তুলে বলা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে দুর্গা পূজা করতে দেয় না তৃণমূল।
সেই প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “আমাকে নিয়ে বলত মমতা জী দুর্গা পূজা করতে দেন না। আমরা নাকি সরস্বতী পুজো করে দিই না। (সভার উদ্দেশ্যে বলেন) কটা হয় এলাকায়? এখানে দুর্গা পূজা, কালী পূজা হয়, বড়দিন, ঈদ ও হয়। বিজেপি করতে দেয় না।”
পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্মীয় মেরুকরণের অভিযোগ আনেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেন, “ওরা (বিজেপি) যেখানে ক্ষমতায় আছে সেখানে দেখবেন ডিমের দোকান, মাছের দোকান, মাংসের দোকান বন্ধ। আচ্ছা বলুন তো আমি কি বলতে পারি আপনি কী খাবেন কী খাবে না?”
ছবির উৎস, Getty Images
ছবির ক্যাপশান, উত্তর ২৪ পরগণায় প্রধানমন্ত্রীর সভার ছবি।বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন
নজরে পশ্চিমবঙ্গ
শুক্রবার মালদহের জনসভার আগে ভোটের মরশুমে আটটা সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে পশ্চিমবঙ্গে আরামবাগ, কৃষ্ণনগর, শিলিগুড়ি, বারাসত, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, বালুরঘাট এবং রায়গঞ্জে সভা করেন।
সভা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও। লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে আসন সংখ্যা বাড়াতে বিজেপি যে মরিয়া, এটা তারই ইঙ্গিত।
শুক্রবার দার্জিলিং, রায়গঞ্জ এবং বালুরঘাট আসনে ভোট গ্রহ্ণের মাঝেই রাজ্যে প্রচারে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মালদহ উত্তরের বিজেপির প্রার্থী খগেন মুর্মু এবং মালদহ দক্ষিণের বিজেপির প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী হয়ে সভা করেন,
এখানেই একের পর এক দুর্নীতি, প্রকল্প বাস্তবায়ন, নারী সুরক্ষা-সহ একাধিক বিষয়ে তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করেন তিনি। একই সঙ্গে বাংলার প্রতি তার ভালবাসার কথা ফুটে উঠেছে।
তিনি বলেছেন, “সরাসরি লোকতন্ত্রের এই (ভোট)পর্বে পশ্চিমবঙ্গে আলাদাই উৎসাহ দেখা যায়। আপনাদের ভালবাসা দেখে আমি আপ্লুত। আমার মনে হচ্ছে আমি গতজন্মে বাংলারই কোনও মায়ের কোলে জন্মেছিলাম। কিম্বা আগামী জন্মে বাংলার কোলে জন্মাব।”
ক্ষমতায় এলে বাংলাকে উপহার হিসাবে উন্নয়নের ব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। অন্যদিকে, বিরোধীরা যে জিতবে না সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত। তিনি বলেছেন, “বিজেপি কংগ্রেসের মতো দলগুলো যারা প্রথম দফা ভোটে ত্রস্ত হয়ে পড়েছিল তারা দ্বিতীয় দফায় পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে পড়বে।”
পাল্টা দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রীমমতা ব্যানার্জী। তিনি বলেছেন, “এবারে ভোটে বিজেপি আসবে না। তাই ভয় পেয়েছে আর ভুলভাল বলছে। কখনও মুসলমানদের তাড়িয়ে দিচ্ছে, কখনও হিন্দুদের তাড়িয়ে দিচ্ছে, কখনও আদিবাসীদের অসম্মান করছে।”