প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, নির্দেশনা আমলে না নিয়ে উপজেলা নির্বাচনে স্বজনরা প্রার্থী হওয়ায় কপাল পুড়তে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি ও মন্ত্রীর।
সাংগঠনিক শাস্তির খড়গ নেমে আসছে তাদের ওপর। কেড়ে নেওয়া হতে পারে দলীয় পদ-পদবি। এমনকি আগামী সংসদ নির্বাচনে তারা দলের মনোনয়ন নাও পেতে পারেন।
যে কোনো সময় মন্ত্রিসভা থেকে ছিটকে পড়তে পারেন দলের কড়া বার্তা কানে না তোলা মন্ত্রীরা।
আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন এমপির স্বজন দলের নির্দেশ না মেনে উপজেলা নির্বাচনে লড়ছেন।
তাদের নির্বাচন থেকে সরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তবে সে কথায় চিড়ে ভেজেনি! এক এমপিও তাদের স্বজনকে ভোটের মাঠ থেকে তুলে নেননি। এ নিয়ে দলের ভেতরেই দেখা দিয়েছে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া।
এমন পরিস্থিতিতে স্বজনকে প্রার্থী করানো মন্ত্রী ও দলীয় এমপির তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণভবনে বৈঠক ডাকা হয়েছে। অভিযুক্ত এমপির কয়েকজন, যারা দলের কার্যনির্বাহী সংসদে আছেন, তারাও বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ভোট করছেন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের ৭৬ জন নেতা।
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় ওই ৭৬ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
নির্বাচনে অংশ নেয়াদের মধ্যে ৩০ জন চেয়ারম্যান পদে, ২৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে এবং সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ২১ জন।
এর বাইরে বিভিন্ন সময়ে দল থেকে বহিষ্কৃত, অন্য দলে যোগ দেয়া এবং দলীয় নেতাদের আত্মীয়-স্বজনরাও রয়েছেন।
তবে দল কী করছে- সেটা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না বহিষ্কৃত নেতারা। তারা নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন এবং বিজয়ী হওয়ার জন্য কাজ করছেন।
বিএনপি থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী বহিষ্কৃত নেতারা বলছেন, তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নির্বাচন করবেন। দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে, এতে তারা বিন্দুমাত্র বিচলিত নন।
বহিস্কার প্রসঙ্গে বিএনপি’র বেশ কয়েকজন নেতা বলেছেন, তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মতামত নিয়েই নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এরপরও অনেকেই দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।
তাই দল বাধ্য হয়ে বহিষ্কারের মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাতে ভবিষ্যতে কেউ দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করতে সাহস না পায়।
গরমে স্কুল খোলা নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, ‘Schools, Colleges: A reopening that defies heatwave and logic too’ অর্থাৎ ‘স্কুল কলেজ: তাপপ্রবাহ এবং যুক্তিকে উপেক্ষা করে পুনরায় খুলেছে’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, তাপপ্রবাহের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় খোলার ফলে দুই শিক্ষকের মৃত্যু এবং বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
অনেক অভিভাবক এবং বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন করেছেন, এই ধরনের কঠিন পরিস্থিতিতে ক্লাস পুনরায় শুরু করার সরকারি সিদ্ধান্ত আদৌ ঠিক ছিল কিনা।
তবে রোববার স্কুল ও কলেজে স্বাভাবিকের চেয়ে কম শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় রোববার রাতে জানিয়েছে, ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা ও যশোর জেলায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কলেজ বন্ধ থাকবে। প্রাথমিক বিদ্যালয় অবশ্য সারা দেশে খোলা থাকবে।
আগের দিন, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী কিছু এলাকায় উচ্চ তাপমাত্রার কারণে দেশব্যাপী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের বিরোধিতা করেছিলেন।
যদি তাপমাত্রা অসহনীয় হয়ে ওঠে তাহলে স্কুলগুলো তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেছিলেন, বাংলাদেশে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নতুন কিছু নয়।
একই ইস্যুতে প্রধান শিরোনাম করেছে নিউ এইজ। তাদের দ্বিতীয় প্রধান শিরোনাম হল, ‘Power cuts rise as heatwave peaks’, অর্থাৎ ‘তাপপ্রবাহ বাড়ার সাথে সাথে বিদ্যুৎ বিভ্রাট বেড়েছে’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, লোডশেডিং আনুষ্ঠানিকভাবে ১৮০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যাওয়ায় জন দুর্ভোগ সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে।
দেশের ইতিহাসে এবারে যেমন দীর্ঘতম তাপপ্রবাহ চলছে। তেমনি এ সময়ে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ চলতি বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
সারা দেশে, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় ঘন ঘন বিদ্যুত বিভ্রাট হচ্ছে। দিনে লোডশেডিং ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হচ্ছে। এতে মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।
ঢাকাতেও বিদ্যুৎ বিপর্যয় বেড়েছে, বেশিরভাগ ওইসব এলাকায় যেখানে দরিদ্ররা বিস্তীর্ণ বস্তিতে বা সঙ্কুচিত আবাসনে বাস করে।
অন্তত ১৪টি জেলায় দিনের তাপমাত্রা দিনে ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস বা তারও বেশি ছিল।
এমন খারাপ পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন কমেছে কেননা ভারত তার বিদ্যুৎ রপ্তানি কমিয়ে দিয়েছে এবং বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীরা তাদের উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে।
কারণ বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এখনও বকেয়া বিল পরিশোধ করতে পারেনি।
কিছু গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণের কাজও বিদ্যুৎ সংকটে ভূমিকা রেখেছে বলে জানিয়েছে পিডিবি।
রোববার প্রকাশিত বাংলাদেশের পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির দৈনিক বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে, জ্বালানি সংকটের কারণে কমপক্ষে ৩৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র আংশিক বা সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় রয়ে গেছে,
এ নিয়ে জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ যে ডলার সংকটে ভুগছে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে।
তীব্র গরমের প্রভাব নিয়ে ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম, ‘হিট স্ট্রোকে একদিনে ১৮ জনের মৃত্যুর রেকর্ড’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে রোববার হিট স্ট্রোকে সারাদেশে শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ নেতা, ব্যবসায়ী, কৃষকসহ ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের হিসাবে দেশের ইতিহাসে এর আগে একদিনে হিট স্ট্রোকে এত মানুষের মৃত্যুর রেকর্ড নেই।
রোববার থেকে পঞ্চম দফায় হিট এ্যলার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকবে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা।
তাপপ্রবাহের কারণে ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আজ সোমবার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
গতকাল ১৩ জেলায় তাপমাত্রা ছিল ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। ২৪ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন যে পরিস্থিতি,তাতে চলতি মাসে তাপমাত্রার তারতম্য হওয়ার সম্ভাবনা কম।
চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ বিভাগে ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে এই তিন বিভাগে আবহাওয়া সহনীয়।
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৪২ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া রাজশাহীসহ ১৩ জেলায় তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রির ওপরে।
বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে। ঘূর্ণিঝড়ই যদি বাস্তবে সৃষ্টি হয় তবে ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে রিমাল।
গরমে ঢাকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘দাবদাহের বিপদে রাজধানী’।
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় ঢাকাকে দাবদাহ পরিস্থিতি বিবেচনায় দুটি শ্রেণীতে ভাগ করেছে। সেগুলো হল সবচেয়ে উষ্ণ এলাকা এবং কম উষ্ণ এলাকা।
এছাড়া একটি মানচিত্রে বিভিন্ন এলাকা গাঢ় থেকে হালকা রঙের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মাত্রা চিহ্নিত করে দেয়া হয়েছে।
সেখানে দেখা যাচ্ছে, সবচেয়ে বেশিউষ্ণ এলাকার মধ্যে রয়েছে কামরাঙ্গীরচর, মিরপুর, গাবতলী, গোড়ান, বাসাবো, টঙ্গী, শহীদনগর, বাবুবাজার, জুরাইন, হাজারীবাগ, পোস্তগোলা, যাত্রাবাড়ী, তেজকুনীপাড়া, নাখালপাড়া, সায়েদাবাদ, কুর্মিটোলা, আজমপুর, কামারপাড়া, মোহাম্মদপুর, আদাবর ও মহাখালী।
অন্যদিকে, কম উষ্ণ এলাকার মধ্যে রয়েছে, শাহবাগ, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশ এবং উত্তরখান, খিলক্ষেত ও ডেমরা।
গরমে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন, রিকশাচালক, হকার, নির্মাণ শ্রমিক, দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ। তাদের কর্ম ঘন্টা কমেছে ফলে আয় কমে যাচ্ছে।
গরমে ঝুঁকির কথাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ঝুঁকির মধ্যে আছে, মাথা ঘোরা, বমি ও ঠান্ডা-কাশির সমস্যা।
অতিরিক্ত গরমে এই সমস্যাগুলো বেড়ে যায়। ডায়রিয়া ও কলেরার প্রাদুর্ভাবও বেড়ে যায়। এরিমধ্যে দরিদ্র মানুষের চিকিৎসা ব্যয়ও বেড়ে গিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দীর্ঘমেয়াদি খরার প্রভাবে উপকূলের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ঢুকে পড়েছে লবণ পানি।
খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, বরগুনা, পটুয়াখালী ও ভোলা অঞ্চলের নদীতে শুষ্ক মৌসুমে এখন লবণাক্ত পানির পরিমাণ অনেক বেশি।
এই অঞ্চলের জেলে, মাঝি অথবা কৃষকদের কাছে জিজ্ঞাসা করলেই তারা বলছেন, তারা নদীর পানিতে আগের চেয়ে অনেক বেশি লবণ অনুভব করছেন।
লবণাক্ততা নদীর চারপাশে মাটিতে ঢুকে যেতে শুরু করেছে। এর ফলে সার্বিক কৃষি উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে, পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতি হচ্ছে, বনভূমি উজাড় হচ্ছে, সবুজায়ন বিলিন হয়ে যাচ্ছে।
অন্য দিকে লবণ পানি মিঠা পানির সাথে মিশে যাওয়ায় মানুষ বাধ্য হচ্ছে, লবণ মিশ্রিত পানি পান করতে।
ফলে এসব অঞ্চলের মানুষের মধ্যে বেড়ে চলেছে উচ্চ রক্তচাপ ও হার্টের সমস্যা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একজন মানুষের জন্য প্রতিদিন পাঁচ গ্রামের বেশি লবণ না খাওয়ার পরামর্শ দিলেও উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ কোনো কোনো ক্ষেত্রে ২০০ গুণ বেশি লবণ খেতে বাধ্য হচ্ছেন বলে আইসিডিডিআরবি, লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে।
তাপপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় সার্বিক কৃষি উৎপাদনও কমে যাচ্ছে। কারণ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সার্বিক তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে পরাগায়ণে বাধাপ্রাপ্ত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আইএমএফের ঋণের ‘গুরুত্বপূর্ণ’ শর্ত ছিল ‘পর্যাপ্ত’ রিজার্ভ নিশ্চিত করা। সেইসাথে রাজস্ব বাড়ানোর শর্ত পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ।
এরপরও প্রথম দুই কিস্তির ঋণ পেয়েছে বাংলাদেশ। ঋণের তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের আগে এখন বাংলাদেশে আছে আইএমএফের প্রতিনিধি দল।
তারা বাংলাদেশকে দেয়া শর্তগুলো কতটা বাস্তবায়ন হয়েছে সেগুলোর খোঁজ-খবর নিচ্ছে এবং বাস্তবায়নের ‘বিভিন্ন কৌশল নিয়ে আলোচনা’ করছে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে।
তারা বাজেট ‘ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন’ বা ঘাটতি কমাতে বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি কমিয়ে আনার সুপারিশ করেছে।
দশ বছর কর অবকাশ পাওয়া শিল্পখাতের সুবিধা বাতিল করার সুপারিশও করেছে।
খেলাপি ঋণের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার জানতে চেয়েছে ঋণ দেয়ার আন্তর্জাতিক এই সংস্থা।
সার্বিক বাজেট ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে অন্যান্য খাতে ভর্তুকি কমিয়ে আনতে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ করেছে।
আগামীতে শর্ত পুরণ না হলে বাংলাদেশের ঋণের কিস্তি পেতে ঝামেলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেছেন, ‘প্রথমদিকের কিছু শর্ত পূরণ না হলেও দুটি কিস্তি এসেছে। এতে আমাদের আশ্বস্থ হওয়া ঠিক নয় যে বাকি শর্তগুলো পুরণ না হলেও পুরো কিস্তি পাবো।’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, এখনই কোনো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদ।
বেসরকারি ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের শনিবারের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকে ৯ই এপ্রিল অনুষ্ঠিত এক সভায় ন্যাশনাল ব্যাংককে একীভূত করতে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংককে (ইউসিবি) নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।
ন্যাশনাল ব্যাংক পর্ষদের সঙ্গে সম্পৃক্ত একাধিক সূত্র জানায়, একীভূত হওয়ার বিষয়ে ইউসিবির সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংক পর্ষদের কোনো আলোচনাই হয়নি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকেও এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
একীভূত হওয়ার খবর প্রকাশ হওয়ার পর ন্যাশনাল ব্যাংকের আমানতকারীদের একটি অংশ তাদের টাকা তুলে নিচ্ছেন। এজন্য পর্ষদের সভায় ইউসিবিসহ কোনো ব্যাংকের সঙ্গে এখনই একীভূত না হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এর আগে, বেসিক ব্যাংকের পর্ষদ সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংককে জানিয়েছে, তারা সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে চায় না। এবার এ তালিকায় ন্যাশনাল ব্যাংকের নামও যুক্ত হলো।
দেশের ব্যাংক খাতে মার্জার-অ্যাকুইজিশন নিয়ে ছয় মাস ধরে নানা আলোচনা হচ্ছে।
দুর্বলগুলোকে সবলের সঙ্গে একীভূত করে ব্যাংকের সংখ্যা ৬১ থেকে ৪৫-এ নামিয়ে আনার উদ্যোগ নেয় সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গত মাসে এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে চুক্তি করে পদ্মা ব্যাংক।
এরপর রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংককে (রাকাব) কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংককে (বিডিবিএল) সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, কয়েক মাস ধরে স্মার্ট সুদহার চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ বিষয়টি বেসরকারি খাতকে আরো দুর্বল করে দিচ্ছে।
ব্যাংক ঋণের সুদহার বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসার ব্যয়কে আরো বাড়িয়ে তুলেছে, যার প্রভাব মূল্যস্ফীতি আরো উসকে দিচ্ছে।
সার্বিক অবস্থা অপরিবর্তিত রেখে যদি চাহিদা ও সরবরাহ সমান হয়, তখন তা স্থিতিস্থাপক।
অর্থনীতির সূত্রের ক্ষেত্রে এই কথাটি প্রযোজ্য। তবে বাস্তবে এখন দেশের অর্থনীতির সব সূচকে পরিবর্তিত পরিস্থিতি বিরাজমান।
এই অবস্থায় সব কিছু অপরিবর্তিত বিবেচনা করে অর্থনীতির সূত্র বাস্তবায়ন করতে গেলে তাতে হিতে বিপরীত হবে—এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
এই অবস্থায় অর্থনীতির সূত্র অনুযায়ী মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে স্মার্ট সুদহার বাস্তবায়ন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, কিন্তু বাজার ব্যবস্থায় অন্যান্য ক্ষেত্রে কার্যকর তেমন পদক্ষেপ ছিল না।
এমনকি আমদানি নিয়ন্ত্রণ করায় সরবরাহ সীমিত রয়েছে। সরবরাহ না বাড়িয়ে সুদহার বাড়িয়ে দেওয়ায় ব্যবসার ব্যয় বেড়ে গেছে। এর ফলে নিয়ন্ত্রণ তো দূরের কথা, মূল্যস্ফীতিকে আরো উসকে দিয়েছে।
ব্যবসায়ীদের মতে, বেঁধে দেওয়া ঋণের সুদহার তুলে স্মার্ট সুদহার বাস্তবায়ন করায় ব্যবসার খরচ অনেক বেড়ে গেছে। বাড়তি ব্যয় মেটাতে পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দিতে হচ্ছে। এতে মূল্যস্ফীতি কমার চেয়ে উল্টো বেড়ে যাচ্ছে। এ কারণে উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ পড়ছে ভোক্তার ওপর।