গাজায় আরো চারজন জিম্মি মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। গত বছরের ৭ই অক্টোবর হামাস তাদের অপহরণ করেছিল।
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে ইসরায়েলি অভিযানের সময় চারজন একসাথে মারা গিয়েছিল। হামাসের কাছে এখনও তাদের মরদেহ রয়েছে বলে জানিয়েছে সামরিক বাহিনী।
নিহতরা হলেন ব্রিটিশ-ইসরায়েলি নাদভ পপলওয়েল (৫১), চ্যাম পেরি (৭৯), ইয়োরাম ম্যাটজার (৮০) এবং এমিরাম কুপার (৮৫)।
আইডিএফের মুখপাত্র রিয়ার এডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, গোয়েন্দারা সাম্প্রতিক সপ্তাহে যেসব তথ্য পেয়েছে তাতে এই সিদ্ধান্তে পৌছানো গেছে।
“ হামাসের বিরুদ্ধে খান ইউনিসে আমাদের অভিযান চলার সময়ে এই চারজন একসাথে নিহত হয়েছে বলে আমরা ধারণা করছি” বিস্তারিত কিছু না জানিয়ে তিনি বলেছেন।
গতমাসে হামাস দাবি করেছিল, নাদভ পপলওয়েল এপ্রিলে ইসরায়েলি এক হামলায় নিহত হয়েছেন।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে যে তারা তদন্ত করছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায় নি।
হামাস ডিসেম্বর মাসে বাকি তিনজনের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিল।
এই চার জিম্মিকেই গাজার কিববুতজের কাছ থেকে ৭ই অক্টোবর অপহরণ করা হয়েছিল।
জিম্মি ও নিখোঁজদের পরিবারগুলোর ফোরাম এক বিবৃতিতে বলেছে, “ চ্যাম, ইয়োরাম, এমিরাম এবং নাদভকে জীবিত অবস্থায় অপহরণ করা হয়েছিল। আগের চুক্তিতে তাদের মধ্যে থাকা অন্য জিম্মিরা ফিরে এসেছিল। এবং তাদেরও পরিবার এবং দেশের কাছে জীবিত অবস্থায় ফিরে আসা উচিত ছিল”।
যুক্তরাজ্যের ফরেন সেক্রেটারি ডেভিড ক্যামেরন নাদভ এক্স এ (পূর্বের টুইটার) এ একটি পোস্টে পপলওয়েলের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
“ এই দুঃসহ সময়ে তার প্রিয়জনদের জন্য আমিও পাশে আছি” বলেন তিনি।
নাদভ পপলওয়েলকে তার মাসহ বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়েছিল, যদিও পরে তার মাকে ছেড়ে দেয়া দেয়া হয়েছিল। তার ভাই রয় হামলায় নিহত হয়।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের মতে, দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলার সময় বারোশো মানুষ নিহত হয়েছিল এবং ২৫১ জনকে তারা জিম্মি করেছিল।
নভেম্বরে এক সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধ বিরতির সময় তারা ১০৫ জন বেসামরিক নাগরিককে মুক্তি দিয়েছিল।
আরো প্রায় ১২০ জন জিম্মি অজ্ঞাত রয়ে গেছে, অনেকেই মারা গেছে বলে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা ধারণা করছেন ।
আন্তঃসীমান্ত হামলার জবাবে হামাসকে ধ্বংসের লক্ষ্যে সামরিক অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল।
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, প্রায় আট মাসের যুদ্ধে গাজায় অন্তত ৩৬ হাজার ৪৭০ জন মারা গিয়েছে।