চলতি অর্থবছরে বিদ্যুৎ খাতে ৩১ হাজার ৮৩৩ কোটি ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নসরুল হামিদ।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
নসরুল হামিদ বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আড়াই হাজার কোটি টাকা, ২০১৯-২০ অর্থবছরে সাড়ে তিন হাজার, ২০২০-২১ অর্থবছরে দুই হাজার চারশ কোটি, ২০২১-২২ অর্থবছরে ছয় হাজার, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছয় হাজার ৩১৫ কোটি ও ২০২৩-২৩ অর্থবছরে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকির দরকার হবে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, ১৯৯৯-২০০০ হতে ২০১৩-১৪ অর্থ বছর পর্যন্ত বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) ক্রমাগত লোকসানের সম্মুখীন হয়।
ওই সময় সরকারকে উল্লেখযোগ্য অংকের ভর্তুকি দিতে হয়। জ্বালানি তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কমে যাওয়ায় নভেম্বর ২০১৪ হতে ২০২২-২৩ অর্থ বছর পর্যন্ত সরকারকে এ খাতে কোনো ভর্তুকি দিতে হয়নি।
২০১-২২ অর্থ বছরে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপিসি দুই হাজার ৭০৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা লোকসান দেয়। সরকার বর্তমানে ডাইনামিক প্রাইসিং ফর্মুলায় জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করায় এ খাতে কোনো ভর্তুকি দিতে হচ্ছে না। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে সরকারের বাজেটে বিদ্যুৎ খাতের ভর্তুকির পরিমাণ ৩৫ হাজার কোটি টাকা। ভর্তুকির অর্থের মধ্যে ৩১ হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৭০০ কোটি নগদ ও ২০ হাজার ১৩৩ কোটি বন্ডের মাধ্যমে সমন্বয় করা হয়েছে।