কোটা আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে ভিসিকে উদ্ধার

কোটা সংস্কার দাবিতে চলমান আন্দোলনে অবরুদ্ধ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় পুলিশের টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেডের মুখে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

এতে পূর্ব নির্ধারিত গায়েবেনা জানাজা বাতিল হয়ে যায়।
বুধবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা সাতটার দিকে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে রেজিস্ট্রার ভবন থেকে ভিসি ও রেজিস্ট্রারকে উদ্ধার করে বাহিরে নিয়ে আসে পুলিশ। এসময় সিন্ডিকেট সদস্যরা পুলিশের সহযোগিতায় জাবির নিজস্ব গাড়িতে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন।

এর আগে সোয়া ৫ টার দিকে পুলিশ ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ শুরু করে। এতে মুহূর্তেই শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ ঘটনায় চার সাংবাদিক, দুই পুলিশসহ প্রায় ত্রিশ জন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।

এব্যাপারে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান বলেন, বার বার বলার পরেও তারা শুনছিলেন না, পরে তারা আরও লোক বাড়ায়। ভিতর থেকে স্যাররা খুব নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন এবং তারা আমাদের ওপর আক্রমণ করে। পরে আমরা স্যারদের উদ্ধার করি। আমাদের কাছে আহতের কোনো খবর নেই, আমরা তাদের সরিয়ে দিয়েছি। আমরা যেটা জানতে পেরেছি যখন সিন্ডিকেট সভা হচ্ছিলো তখন তাদের ওপর আক্রমণ করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। তারা সেখানে ভাঙচুর করেছেন, এঘটনায় অনেকে আহত আছেন। আমরা কয়েকজন স্যারকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করেছি।

তিনি বলেন, স্যারদের মারফতে আমরা জানতে পেরেছি। শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আমরা শিক্ষার্থী ভাইদের অনুরোধ করবো শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য। আমরা চাই তারা শান্তিপূর্ণভাবে হল খালি করে তারা চলে যাবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সময় বেধে দিয়েছেন আমরা আশা করবো সেই সময়ের মধ্যে তারা হল খালি করে চলে যাবেন। তারা যাতে সুন্দরভাবে চলে যেতে পারে, তারা যাতে সিকিউরড থাকে সেটা আমরা নিশ্চিত করবো।

আমাদের কাছে অনেক অভিযোগ আছে, বহিরাগত অনেকেই ভিতরে প্রবেশ করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পিছন গেটে ইতিমধ্যে কিছু বহিরাগত অবস্থান নিয়েছে। এধরনের মেসেজ আমরা খতিয়ে দেখছি আসলে এটার সত্যতা কতটুকু।

আমরা আশা করছি শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে শিক্ষার্থীরা রাতে মধ্যেই চলে যাবে। যারা যেতে চেয়েছেন গাড়ি থামিয়ে তাদের উঠিয়ে দিয়েছি। তারা যদি বিশেষ ব্যবস্থাপনা চায় আমরা গাড়ি বা টিকেটের ব্যবস্থা করে দিতে পারি। সেটি আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কিংবা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে করে দিতে পারি। এর বাইরে যারা আমাদের সাপোর্ট চাইবেন তাদেরকে আমরা সাপোর্ট দেবো। তারা যাতে নির্বিঘ্নে যেতে পারেন সেটা আমরা নিশ্চিত করবো।

আমরা যখন এটি করতে গিয়েছি আমাদের ওপর ইট মেরেছেন, তারা আগুন জ্বালিয়েছেন এবং আমরা দেখেছি তারা ভাঙচুর করেছেন। আমরা বিশ্বাস করি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এটি করতে পারে না। আমাদের কাছে খবর আছে যাদের বিভিন্ন রাজনৈতিক পরিচয় আছে এমন বহিরাগত ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়েছে এবং তারা বিভিন্ন হলে অবস্থান করছে। সেই ধরনের অভিযোগ যদি থাকে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে অবশ্যই তাদের হল থেকে বের করে দেওয়া হবে।

Source link

এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে ফেইসবুক পেজটি লাইক দিন এবং এই রকম আরো খবরের এলার্ট পেতে থাকুন

 আরো পড়তে পারেন:  

Loading...