যশোরে মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জ্ঞাপন করে রাজপথে দু’রাকাত নফল নামাজ আদায় করেছে জামায়াতে ইসলামীর কয়েক হাজার হাজার নেতা-কর্মী।
৬ আগস্ট মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১০টায় শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মোড়ে সড়কে শোকরানা নামাজ আদায় করেন। ইমামতি করেন জামায়াতের ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর মাওলানা আজিজুর রহমান।
নামাজ আদায়ের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নেতা-কর্মী এবং জনগণের উদ্দেশ্যে দিক-নিদের্শনা মূলক বক্তৃতা করেন জামায়াত-শিবির নেতৃবৃন্দ।
সব জায়গায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার আহবান জানিয়ে তারা বলেন, আওয়ামী দু:শাসনের দীর্ঘ ১৬ বছরের অত্যাচার-নির্যাতনের পর দেশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থান ঘটেছে। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে দেশ থেকে পালিয়েছেন। এই আন্দোলনের বিজয়ের কৃতিত্ব ছাত্রদের।
বক্তারা বলেন, এটি দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের বিজয়। এখন নেতা-কর্মীদের ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে। কোন প্রকার হামলা, ভাংচুর সহিংসতায় লিপ্ত হওয়া যাবে না।
আরও উল্লেখ করেন, দেশে সংখ্যালঘু বলে কিছু নাই। সবাই আমরা বাংলাদেশী। সবার নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের কাধে তুলে নিতে হবে।
সমাবেশ বক্তব্য রাখেন মাওলানা আজিজুর রহমান, শহর সাংগঠনিক জেলা আমীর অধ্যাপক গোলাম রসুল, সেক্রেটারি অধ্যাপক গোলাম কুদ্দুস, ইসলামী ছাত্রশিবিরের শহর সভাপতি মোস্তফা কামাল। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন জামায়াতের প্রচার সেক্রেটারি অধ্যাপক শাহবুদ্দিন বিশ্বাস।
নামাজ শেষে ঈদগাহ মোড় থেকে বিশাল বিজয় মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি মুজিব সড়ক প্রদক্ষিণ করে যশোরের আন্দোলনের প্রধান জমায়েত স্থান যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের চাঁচড়া চেকপোস্টে গিয়ে শেষ। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানের সাথে সংহতি প্রকাশ করে কর্মসূচি শেষ করা হয়।
এসময় ছাত্ররা অবস্থান কর্মসূচিতে কোন প্রকার দলীয় স্লোগান না দিতে অনুরোধ করেন। সমন্বয়কারীরা সাধারণ ছাত্র এবং ভিন্ন ধর্মাবলম্বিদের বাড়ি-ঘর ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে নিরাপত্তা দেয়ার দাবি জানান।
সমাবেশে বক্তৃতাকালে আন্দোলনে সারাদেশে নিহত ছাত্রদের শাহাদাতের মর্যাদা কামনা করে রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়। আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করা হয়। নিহত এবং আহত ছাত্রদের ক্ষতিপূরণ দেবার দাবিও জানান বক্তারা।