ভারতে বসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্র করছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর।
ফখরুল বলেন, আবু সাঈদ বুকের রক্ত দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। যে ইতিহাস হচ্ছে তরুণদের আত্মত্যাগের ইতিহাস। ফ্যাসিবাদী, খুনি সরকারের পতনের দাবিতে শত শত মানুষ বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছেন। লাখ লাখ মানুষ যখন গণভবনের দিকে যাচ্ছিল তখন হাসিনা ভয়ে পালিয়ে গেলেন; কিন্তু পালিয়ে গেলেও চুপ করে বসে নেই। ভারতে বসে ষড়যন্ত্র করছে হাসিনা।
বুধবার বিকাল পৌনে ৩টার দিকে রংপুরের পীরগঞ্জের মদনখালী ইউনিয়নের জাফরপাড়া কামিল মাদ্রাসা মাঠে সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম।
মির্জা ফখরুল বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও চুপ করে বসে নেই। ভারতে বসে ষড়যন্ত্র করছে। অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি পাঁয়তারা করছেন। এ কারণে দেশে এখনো বিপদ কাটেনি। এজন্য বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা ঐক্য ও সম্প্রীতির সমাবেশ করছি। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান একসঙ্গে নতুন স্বাধীনতাকে সুসংহত করতে সম্প্রীতির সমাবেশ করছি।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভয়ে লেজ গুটিয়ে পালিয়ে গেছেন। অথচ এক সময় উনি খুব বড় গলায় বলতেন, আমি পালাব না। দেশেই থাকব। আমি শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে, কোনোদিন পালাই না; কিন্তু আজ লেজ গুটিয়ে পালিয়ে গেছেন ভারতে। তিনি বর্তমানে সেখানে বসে নানামুখী ষড়যন্ত্র করছেন। দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার চক্রান্ত করছেন।
তিনি বিএনপি নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের উদ্দেশে বলেন, দেশে এখনো বিপদ কাটেনি। আবারও মাথা চাড়া দিতে পারে এই স্বৈরাচার হাসিনা। এই বিপদ মোকাবিলা করতে আমাদের সব ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণের সরকার গঠন করতে হবে।
পীরগঞ্জের মদনখালী ইউনিয়নের জাফরপাড়া কামিল মাদ্রাসা মাঠে সম্প্রীতি সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, মহানগর বিএনপি আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, জেলার সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু, জেলা যুবদল সভাপতি নাজমুল আলম নাজু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আল ইমরান সুজন, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শরীফ নেওয়াজ জোহা, জেলা শ্রমিক দলের সদস্য সচিব শামীম মিয়া, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি রেজেকা সুলতানা ফেন্সি, সাধারণ সম্পাদক আরজানা সালেক, জেলার সভাপতি স্বর্ণা বেগম, সিনিয়র সহ-সভাপতি মমতাজ বেগম রানী, পীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ নবী পলাশ, যুবদলের আহ্বায়ক আনিছুর রহমান, ছাত্রদলের আহ্বায়ক মিলু সরকার প্রমুখ। এ সময় পীরগঞ্জ উপজেলা ছাড়াও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।