দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার প্রথম দিনেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কে দুর্নীতিমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান।
বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
“তাদের (কর্মকর্তাদের) মেসেজ দেওয়া হয়েছে। নিজেদের পরিবর্তন করতে না পারলে বের করে দেওয়া হবে। বড় ছোট না, সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুবৃত্ত যেন তৈরি না হয় সেটা দেখা হবে,” রোববার দুপুরে ঢাকার আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে সাংবাদিকদের বলেন মি. খান।
গত কোরবানির ঈদের আগে ছেলের ১৫ লাখ টাকা দিয়ে ছাগল কেনার ঘটনার জেরে রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমানের দুর্নীতি ও অবৈধ আয়ের বিষয়টি সামনে আসে।
মি. রহমানের মতো আর কোনো কর্মকর্তা যেন এনবিআরে তৈরি না হয়, সেলক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান নতুন চেয়ারম্যান।
এছাড়া চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের বাজেটে কালো টাকা সাদা করার যে সুযোগ রাখা হয়েছে, সেটির পক্ষে নন বলে জানিয়েছেন মি. খান।
“এনবিআর চেয়ারম্যান হিসেবে নয়, ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, এগুলা অগ্রহণযোগ্য। এর ফলে সৎ করদাতা নিরুৎসাহিত হয়,”
তবে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদসহ বাকিদের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
আওয়ামী লীগের গত দেড় দশকের শাসনামলে আর্থিক খাতে যারা লুটপাট ও অর্থপাচার করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন মি. খান।
“১৫ বছরের অপরাধীদের নিয়ে আমরা কাজ করবো। হয়ত একটু সময় লাগবে। প্রস্তুতি নিচ্ছি। সবকিছু স্থির হলে কাজ শুরু করবো”
“অর্থ পাচার নিয়ে বিএফআইইউ কাজ করছে, এনবিআরের সিআইসিও কাজ করবে। যখনই কোনো ইঙ্গিত পাব, তা অনুসন্ধান করা হবে,” বলেন মি. খান।