রূপপুরের নির্মাণ ব্যয় এশিয়ায় সর্বোচ্চ— আজকের পত্রিকার এই প্রধান শিরোনামে বলা হচ্ছে, পাবনার রূপপুরে রাশিয়ার ভিভিইআর ১২০০ প্রযুক্তিতে দুই ইউনিটের নির্মাণাধীন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণব্যয় এশিয়া মহাদেশের অন্য দেশগুলোর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণব্যয়ের তুলনায় বেশি।
নির্মাণব্যয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, জাপান, ফিনল্যান্ড, স্লোভাকিয়া রিপাবলিক, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, ভারত, এমনকি রাশিয়াকেও পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ।
রাশিয়ার সরকারি সংস্থা রোসাটম রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিভিন্ন পর্যায়ের চুক্তি (জেনারেল কন্ট্রাক্টসহ) পর্যালোচনা করে এসব তথ্য জানা গেছে।
চুক্তির তথ্য অনুযায়ী, রূপপুরের মূল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে এখন পর্যন্ত ব্যয় দেখানো হয়েছে ১৩ দশমিক ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় এক লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা। এই কেন্দ্রের অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণে খরচ হবে আরও অন্তত সাড়ে ২৪ হাজার কোটি টাকা বা দুই বিলিয়ন ডলার।
সব মিলিয়ে এক হাজার ৮৭৬ জন জনপ্রতিনিধিকে অপসারণ করে এসব পদে প্রশাসক হিসেবে সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের স্থলে জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) দায়িত্ব পালন করবেন। অন্যদিকে, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের জায়গায় দায়িত্ব পালন করবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও)।
গত রবিবার স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এসংক্রান্ত তিনটি পৃথক প্রজ্ঞাপনে এসব জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এবং স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ প্রয়োগ করে পৌরসভার মেয়র, জেলা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের নিজ নিজ পদ থেকে অপসারণ করা হলো।
এটি আজ দেশের প্রায় সকল পত্রিকার প্রথম পাতার খবর।
এর মধ্যে আবার বেশি ঋণ নেওয়া হয়েছে দেশের ব্যাংকব্যবস্থা থেকে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সূত্রে পাওয়া দেশি-বিদেশি ঋণের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, পদত্যাগের সময় শেখ হাসিনার সরকার ১৮ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকার ঋণ রেখে গেছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে এ ঋণ পরিশোধে এখন ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, সাবেক সরকারের যথাযথ ঋণ ব্যবস্থাপনা না থাকায় দেশি উৎস থেকে বেশি পরিমাণে ঋণ নেওয়া হয়েছে। যদিও বৈদেশিক মুদ্রায় বিদেশি ঋণ নেওয়াকে সব সময় স্বাগত জানান অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা। গত ১৫ বছরে অনেক বিদেশি ঋণও নেওয়া হয়েছে। তবে এসব ঋণের বেশির ভাগই নেওয়া হয়েছে দর–কষাকষি ও বাছবিচারহীনভাবে; যা সরকারের দায়দেনা পরিস্থিতিতে চাপ বাড়িয়েছে।
মূলত, ক্ষমতার প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় ফুলে ফেঁপে ওঠা অল্প কিছু ব্যক্তির হাতে দেশের অর্থনীতির নিয়ন্ত্রণ চলে গেলে তারা অলিগার্ক হিসেবে পরিচিতি পান। তখন নীতিনির্ধারণ থেকে শুরু করে বাজার নিয়ন্ত্রণ, সবখানেই তাদের শক্তিশালী উপস্থিতি থাকে।
গত দেড় দশকে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাষ্ট্রের অবাধ পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে ফুলেফেঁপে উঠেছেন এমন বেশ কয়েকজন বড় ব্যবসায়ী। দেশের অর্থনীতির বৃহদংশই তাদের ও তাদের মালিকানাধীন শিল্প গ্রুপগুলোর নিয়ন্ত্রণে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এ অলিগার্কদের অনেকেই লোকচক্ষুর আড়ালে চলে গেছেন। গ্রেফতার বা সম্পদ ক্রোকের আতঙ্কেও রয়েছেন তাদের কেউ কেউ।
গত দেড় দশকে অলিগার্ক হিসেবে অর্থনীতিতে ব্যাপক মাত্রায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছেন এমন ব্যবসায়ীদের মধ্যে রয়েছেন সালমান এফ রহমান (বেক্সিমকো গ্রুপ), মোহাম্মদ সাইফুল আলম মাসুদ (এস আলম গ্রুপ), মুহাম্মদ আজিজ খান (সামিট গ্রুপ), আহমেদ আকবর সোবহান (বসুন্ধরা গ্রুপ), মোহাম্মদ ওবায়দুল করিম (ওরিয়ন গ্রুপ) ও মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার (নাসা গ্রুপ)।
অর্থনীতির পর্যবেক্ষক ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অর্থনীতিতে অলিগার্কদের প্রভাব দূর করা এখন অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর একটি হয়ে উঠেছে। এজন্য সরকারকে চূড়ান্ত মাত্রায় সতর্ক ও পরিপক্ব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
Tk 95,000cr loans taken from 6 banks— দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার এই প্রধান শিরোনামে বলা হয়েছে, এস আলম গ্রুপ ও তার সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো ২০১৭ সাল থেকে চলতি বছরের জুনের মাঝে ছয়টি ব্যাংক থেকে ৯৫ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা নিয়েছে। এই টাকার ৭৯ শতাংশ নিয়েছে আবার ইসলামী ব্যাংক থেকে।
এই টাকার পরিমাণ চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতের মোট বকেয়া ঋণের পাঁচ দশমিক ৭৮ শতাংশের সমান।
বিভিন্ন নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, চট্টগ্রামভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটি ব্যাংকিং নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে এই ঋণ নিয়েছিলো, যার প্রভাব পড়েছে দেশের ব্যাংকিং খাতে।
এস আলমের ৬ ব্যাংকের ঋণ বিতরণে বিধিনিষেধ— নয়া দিগন্ত পত্রিকার প্রথম পাতার এই শিরোনামে বলা হয়েছে, সাইফুল আলম মাসুদ, সংক্ষেপে এস আলম গ্রুপ ও তার সহযোগীরা ইসলামী ব্যাংকগুলো থেকে এর আগে বেহিসাবী ঋণ নিয়েছে। তারা এখনও বিভিন্ন উপায়ে ব্যাংক থেকে আরও অর্থ বের করার সুযোগ খুঁজছে।
ব্যাংকের কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে সাড়ে ৯০০ কোটি টাকা বের করে নেয়ার চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে। তবে নতুন করে ব্যাংক থেকে আর কোনও অর্থ যাতে বের করে নিতে না পারে, সেজন্য ইসলামী ব্যাংকসহ এস আলমের দখলে থাকা ৬টি ব্যাংকের ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এসব ব্যাংককে পাঁচ কোটি টাকার বেশি ঋণ দিতে হলে এবার থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিতে হবে। সেইসাথে, যেসব প্রতিষ্ঠানের কাছে মেয়াদোত্তীর্ণ ও সীমাতিরিক্ত ঋণ আছে, তা নগদ আদায় ছাড়া নবায়ন করা যাবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে গতকাল এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীকে চিঠি দেয়া হয়েছে। ব্যাংক ৬টি হলো ইসলামী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও কমার্স ব্যাংক।
গত রোববার সুপ্রিম কোর্টের আইনিজীবী এম সরোয়ার হোসেনের করা একটি অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ সিদ্ধান্ত নেয়। আজ মঙ্গলবার থেকে ওই ৪১ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অনুসন্ধান শুরু হবে।
সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সি, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সাবেক জ্বালানি খনিজ সম্পদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, সাবেক ত্রাণমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ অনেকেই এই তালিকায় আছেন।
Hasina, others named in third ICT case— নিউ এজ পত্রিকার দ্বিতীয় প্রধান শিরোনাম এটি। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও সদ্য ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আরও একটি অভিযোগ জমা পড়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সাম্প্রতিক বিক্ষোভে নির্বিচারে গুলি করে গণহত্যার কারণে তিনি ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা তৃতীয় অভিযোগ এটি।
এমনিতে, সর্বশেষ দায়ের করা ওই গণহত্যার মামলাসহ গত ১৩ই অগাস্ট থেকে এ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মোট মামলার সংখ্যা ২২টি।
ইসলামী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বিদায়ী আওয়ামী সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংককে ‘জামায়াতমুক্ত’ করার উদ্যোগ হিসেবে এর মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা পরিবর্তন করা হয়। মালিকানা দেয়া হয় এস আলম গ্রুপকে।
তৎকালীন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অন্যায়ভাবে ইসলামী ব্যাংকের তৎকালীন শীর্ষ কর্মকর্তাদের একটি হোটেলে নিয়ে অস্ত্র তাক করে ব্যাংকটির মালিকানা পরিবর্তন করে। এর পরই ব্যাংকটির অবস্থা নাজুক হতে শুরু করে।
পঞ্চদশ সংশোধনী সংবিধানের সঙ্গে কেন সাংঘর্ষিক নয়— দেশ রূপান্তর পত্রিকার প্রথম পাতার একটি প্রতিবেদন এটি। এখানে বলা হয়েছে, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল-সংক্রান্ত সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আইন (২০১১) কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়ে রুল দিয়েছে উচ্চ আদালত।
জনস্বার্থে করা একটি রিট আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে গতকাল সোমবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেয়। আগামী ১০ দিনের মধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলেছে হাইকোর্ট।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান, সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ এবং দুই তরুণ ভোটার জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমানের পক্ষে গত রবিবার এ রিট আবেদনটি করা হয়।