রংপুরে আবু সাঈদ হত্যা মামলায় গ্রেফতার দুই পুলিশ সদস্যের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
মঙ্গলবার সকালে আদালতে হাজির করা হয় সাময়িক বরখাস্ত
পুলিশ সদস্য মো. আমীর আলী ও সুজন চন্দ্র রায়কে। মো. আমীর আলী সহকারী উপপরিদর্শক এবং
সুজন চন্দ্র রায় কনস্টেবল হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
সোমবার আবু সাঈদ হত্যা মামলায় তাদের গ্রেফতার
করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে বিবিসি
বাংলাকে জানান রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের নবনিযুক্ত কমিশনার মো. মজিদ আলী।
জেলার পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার জাকির হোসেন
স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন যে, এএসআই মো. আমীর আলী ও সুজন চন্দ্র রায়
পুলিশ লাইনে নজরদারিতে ছিলেন।
“মহানগর পুলিশ গ্রেপ্তারের পর আমাদের কাছে
হস্তান্তর করেছে,” যোগ করেন তিনি।
কোটা আন্দোলন চলাকালে গত ১৬ই জুলাই পুলিশের
গুলিতে গুরুতর আহত হন শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে
মৃত ঘোষণা করেন।
ওই ঘটনার একমাসেরও বেশি সময় পর গত ১৯শে অগাস্ট
রংপুরের অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজু আহমেদের আদালতে একটি হত্যা মামলা
দায়ের করেন নিহত মি. সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী।
সেখানে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন
পর্যায়ের প্রায় ডজনখানেক কর্মকর্তাসহ ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও কমপক্ষে ৩০ জনকে আসামি
করা হয়।