যশোরের খড়কি এলাকার কামরুজ্জামান শুকুর ওরফে বাবুকে হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। ঘটনার আট বছরের মাথায় ভুক্তোভুগি শুকুরের বাবা মতিয়ার রহমান বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে এ মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তৌহিদুর রহমান ফন্টু, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল, যশোর পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার জাহিদ হোসেন মিলন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রওশন ইকবাল শাহী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাল সাবিল আহম্মেদ জিসান, শাহ আব্দুল করীম রোডের জহিরের ছেলে তৌহিদ, মিশনপাড়ার রাজা মিয়ার ছেলে রাজিব, মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার না-গোসা গ্রামের নুর ইসলাম নাহিদ, যশোর শহরের খড়কির হাজামপাড়ার বর্মন, শার্শা উপজেলার সাড়াতলা গ্রামের রাশেদ।
অভিযোগ আমলে নিয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানায় কোনো মামলা হয়েছে কিনা তা জানিয়ে আদালতে সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, শুকুর ব্যবসা বাণিজ্য করতেন। অন্যদিকে আসামিরা প্রায় রাতেই এমএম কলেজের আসাদ হলে মদ, ফেনসিডিল ও ইয়াবা সেবন করতেন। আসামিরা প্রায় শুকুরকে মাদক এনে দিতে বলতেন। কিন্তু শুকুর তাদের কথা শুনতেন না। এসব বিষয়ে শক্রতা শুরু হয়। এক পর্যায় আসামিরা শুকুরকে হত্যার পরিকল্পনা করে। তারই অংশ হিসেবে ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর বিকেলে জিসান শুকুরকে আসাদ হলের মধ্যে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর ফন্টু ও মিলনের হুকুমে অন্য আসামিরা শুকুরকে রড দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। শাহী শুকুরকে রড দিয়ে মারপিট করে একই সময় ড্রিল ম্যাশিন ডান পায়ের হাটুর উপরে ছিদ্র করে দেয়। অন্য আসামিরাও শুকুরকে মারপিট করে। নুর ইসলাম নাহিদ ও বর্মণ শুকুরের হাত ও পায়ের নখ উঠিয়ে ফেলে। এক পর্যায় মাটিতে লুটিয়ে পরে শুকুর। এরপর আসামিরা শুকুর মারা গেছেন ভেবে চলে যান। পরে আশপাশের লোকজন এসে শুকুরকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ নভেম্বর রাত ১১.৫৫ মিনিটে মৃত্যু বরণ করেন। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা করতে গেলে কর্তৃপক্ষ মামলা নেয়না। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকির ফলে মামলা করার সাহসও পাননি। পরিস্থিতি অনুকুলে আসায় তিনি আদালতে মামলা করেন।