রাজনৈতিক দল গুলো নিজেদের স্বার্থে ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যবহার করে। জোর করে দলীয় মিছিল-মিটিংয়ে নিয়ে যায়। মিছিলে না গেলে ছাত্রদের উপর নির্যাতন করা হয়। শুধু তাই নয় অত্যাচারের যুক্তদের বিশেষ সুবিধাও দেয়া হয়েছে। তাই আগামীতে যাতে রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের স্বার্থে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার না করতে পারে তার ব্যবস্থা গ্রহণে কলেজ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজের শিক্ষার্থীরা।
রোববার সকালে কলেজের কলা ভবনের তৃতীয় তলায় ছাত্র প্রতিনিধিদের সাথে কলেজ প্রশাসনের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শিক্ষার্থীরা তাদের বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।
শিক্ষার্থীরা কলেজের ছাত্র কল্যাণ তহবিল যেন দলীয় ব্যানারে ব্যবহার না করা হয় তার দাবি জানান। এছাড়া বর্তমানে কলেজে ভর্তি ও ফরম ফিলাপের সময় অনলাইনে টাকা দিতে হয়। তা কোন খাতে কত দিচ্ছে তা শিক্ষার্থীরা জানতে পারে না। নোটিশ আকারে তা প্রকাশ করার দাবি জানান।
সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা কলেজ অডিটোরিয়ামের দাবি জানিয়ে বলেন, যশোরকে সাংস্কৃতির রাজধানী বলা হয়। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে কলেজের শিক্ষার্থীদের একাধিক পদক লাভ তারই প্রমাণ। তবে দীর্ঘদিন দাবি জানিয়ে আসলেও কলেজে অডিটোরিয়াম নির্মাণের কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
এছাড়া চৌগাছা ও বারোবাজার পর্যন্ত কলেজের বাস চলাচল করলেও মনিরামপুর ও ঝিকরগাছা রুটে কোন বাস নেই। তাই এই দুই রুটে বাস চলাচলের দাবি জানায়।
কলেজ ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের দাপটে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে শিক্ষকরাও নির্বিঘেœ চলাচল করতে পারে না। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর বহিরাগতদের অত্যাচার বৃদ্ধি পায়। তাই রাতে কলেজের আইডি কার্ড ছাড়া কাউকে কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে না দেয়ার কথা বলেন।
তাছাড়া কলেজের হল গুলোতে মাদক সহজলভ্য হয়ে গেছে দাবি করা হয়। সেই সাথে হলগুলো মেধার ভিত্তিতে সিট বরাদ্দের দাবি জানায়। এছাড়া বিভিন্ন সময় কলেজের শিক্ষার্থীদের ২০ টাকা থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিতে হয় বলে দাবি করেন।
তবে শিক্ষার্থীরা একাডেমিক কোন বিষয়ে কথা না বলায় অবাক হন মতবিনিয়ম সভায় সভাপতিত্ব করা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. খন্দকার এহসানুল কবির।
তিনি বলেন, আমি এর আগে এই কলেজে র্দীঘদিন শিক্ষকতা করেছি। তাই অনেক কিছু জানি। তোমরা যৌক্তিক দাবি করেছো। দাবি গুলোর মধ্যে যা আমার হাতে আছে, তা দ্রুত সমাধান করা হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের একটি মোবাইল নম্বর দিবেন বলে জানান। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের বিভিন্ন দাবি জানাতে পারে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, কলেজের উপাধ্যক্ষ আবু বকর সিদ্দিক, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক প্রফেসর আখতার হোসেন, প্রফেসর মোকরম হোসেন।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে বক্তব্য রাখেন, কলেজ ছাত্রদলের নেতা হাসানুর রহমান, ছাত্র শিবিরের সভাপতি উবাইদ রহমান, সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি মাহবুর রহমান, থিয়েটার ক্যানভাসের সোহানুর রহমান সোহান, রেড ক্রিসেন্টের টিম লিডার শাহিনুর রহমান, আহ্বানের সদস্য রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ।