যশোর শহরের রেলগেট পশ্চিমপাড়ার তানভীর রহমান অন্তরকে অপহরণ ও গুমের অভিযোগে সাবেক পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম ও কোতয়ালি থানার তৎকালীন ওসি মনিরুজ্জামানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে রোববার রাতে কোতোয়ালি থানায় মামলা রেকর্ড হয়েছে। এরআগে গত বুধবার অপহৃত অন্তরের মা ফাতেমা বেগম আদালতে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার জন্য কোতয়ালি থানার ওসিকে আদেশ দেন।
অপর আসামিরা হলো,তৎকালীন এসআই মিরাজ হোসেন, এসআই মনির হোসেন, এসআই আনসারুল, এসআই আমিনুর রহমান,কন্সটেবল খাইরুল, কনস্টেবল সালাউদ্দীন, কনস্টেবল হাফিজুল, কনস্টেবল ড্রাইভার আবু মুসা ,শহরের রায়পাড়া এলাকার নুর মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম, মণিরামপুর উপজেলার শমসের বাগ গ্রামের মৃত এলাহী বক্সের ছেলে আবুল হোসেন ও বাঘারপাড়া উপজেলার ধুপখালী গ্রামের মৃত কহেল জোয়ারদারের ছেলে আবু বক্কর।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, তানভীর রহমান অন্তর রেলগেট পশ্চিমপাড়ার বিল্লালের মাঠে বিল্ডিং নির্মাণের জন্য রাখা রড সিমেন্টসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম রাতে দেখাশোনার কাজ করতো। অন্তরের মামা শ্রাবণও ওই এলাকায় নাইট ডিউটি করতেন। ২০২০ সালের ৭ মে রাত তিনটার দিকে অন্তর ও শ্রাবণ সেহেরি খাওয়ার জন্য নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এমন সময় এসআই মিরাজ হোসেন এসে অন্তর ও শাওনকে একটি মাইক্রোবাসে উঠিয়ে ‘এসপি স্যার’ নিয়ে যেতে বলেছে বলে নিয়ে যায়। পরে ফাতেমা বেগমসহ স্বজনেরা বিভিন্ন স্থানে অন্তর ও শ্রাবণকে খোঁজাখুঁজি করেও উদ্ধারে ব্যর্থ হয়।
কয়েক দিন গেলেও তাদের আর সন্ধান পায়নি স্বজনেরা। বেশ কয়েকদিন পর স্বজনেরা জানতে পারেন শ্রাবণকে একটি মামলায় নড়াইলের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। কিন্তু অন্তরের খোঁজ আর পাওয়া যায়নি। আসামিরা অন্তরকে অপহরণ করে লাশ গুম করে দিয়েছে বলে তার মা মামলায় উল্লেখ করেছেন। এ ঘটনায় অপহৃত অন্তরের মা কোতয়ালি থানায় একটি জিডি করেছিলেন। মামলা করার সাহস পাননি তিনি। ঘটনার চার বছর পর বর্তমানে পরিস্থিতি অনুকূলে আসায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।