মালিকপক্ষ শ্রমিকদের দাবি মেনে নেওয়ায় বুধবার সকাল থেকে খুলেছে সাভার, আশুলিয়া এবং গাজীপুর এলাকার প্রায় সব পোশাক কারখানা।
আশুলিয়ার শিল্প পুলিশ ১–এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বিবিসিকে বলেছেন, শিল্পাঞ্চল এক, অর্থাৎ সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইতে প্রায় ৮০০টি পোশাক কারখানা আছে।
সেগুলোর মাঝে ১১টি পোশাক কারখানা শুধু বন্ধ আছে, বাকি কারখানাগুলো খোলা।
ওই কয়েকটি কারখানা বন্ধ থাকার কারণ জানতে চাইলে মি. আলম বলেন, “কেউ বেতন দিতে পারছে না, কারও হয়তো অন্য সমস্যা আছে। সেকারণে ওগুলা বন্ধ আছে আপাতত।”
এদিকে, স্থানীয় সাংবাদিকরা বিবিসিকে জানিয়েছেন, কারখানা এলাকায় সকাল থেকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবির টহল দলও রয়েছে।
বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ কারখানাগুলোতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
মূলত, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সাভার, আশুলিয়া এবং গাজীপুরের কারখানায় ন্যূনতম মজুরি পুনর্নির্ধারণ, শ্রম আইন সংশোধন, ইনক্রিমেন্ট চালুসহ ১৮ দফা দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ শুরু হয়।
গত দেড় মাসে কয়েক দফায় মালিক পক্ষের সাথে শ্রমিকদের আলোচনা চললেও, তা বস্তুত কার্যকর হয়নি।
সবশেষ ২৪শে সেপ্টেম্বর শ্রমিকদের দাবি নিয়ে মালিকদের পাশাপাশি সরকার এবং শ্রমিকদের বৈঠক হয়, সেখানে শ্রমিকদের সব দাবি পূরনের আশ্বাস দেয়া হয়।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে ওই বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান, স্বরাষ্ট্র, শিল্প এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত চারজন উপদেষ্টা, পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এবং শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবিতে শ্রমিক-মালিক ঐকমত্য হয় এবং দাবি বাস্তবায়নে সম্মত হওয়ার বিষয়ে একটি যৌথ ঘোষণা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, ধীরে ধীরে শ্রমিকদের সব ন্যায্য দাবি পূরণ করা হবে।