এ খবরে বলা হয়েছে, ২৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীর চাকরিচ্যুতি ও দাবি-দাওয়ার প্রেক্ষাপটে আন্দোলন চলছে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) অধীন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলোয়। এরই মধ্যে আন্দোলনকারী কয়েক কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
আবার নতুন করে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছে বিদ্যুতের উৎপাদন কোম্পানি নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির (এনডব্লিউপিজিসিএল) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বিদ্যুৎ খাতের দুই বিতরণ কোম্পানির বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীর এ আন্দোলনে দেশের বিদ্যুৎ খাতে চলমান অস্থিরতা আরো বড় হয়ে ওঠার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
পল্লী বিদ্যুতের শাটডাউনের কারণে দেশের বিভিন্ন জেলায় তীব্র লোডশেডিং ও ব্ল্যাকআউটের মতো ঘটনা ঘটেছে।
এ পরিস্থিতির অবসান না হলে দেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় বড় ধরনের বিঘ্ন দেখা দেয়ার আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
সংলাপে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে যৌক্তিক সময়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের তাগিদ দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো।
সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে নেতারা বলেছেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে যত দ্রুত সম্ভব একটি অবাধ, সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় জনগণ।
প্রধান প্রধান সংস্কারগুলো জনগণের নির্বাচিত সরকার করবে। এজন্য দ্রুততম সময়ে একটি নির্বাচনী রোডম্যাপ চেয়েছেন তারা।
পাশাপাশি দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বাজার সিন্ডিকেট ও নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রনে রাখতে সংলাপে জোর দেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
গণতন্ত্র ও গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগসহ ১৪ দল এবং সহযোগী হিসেবে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবি উঠেছে সংলাপে।
শনিবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সাথে সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতারা এসব অভিমত ব্যক্ত করেন।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে পোশাক খাতে অন্তত ৪০ কোটি ডলারের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)।
গতকাল শনিবার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় সংগঠনটি।
বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে আয়োজিত এই সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, শ্রমিক অসন্তোষের ফলে ৩০০ থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলারের মতো পোশাক উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে।
এ ছাড়া পাঁচ থেকে ছয় শতাংশ ক্রয়াদেশ অন্য দেশে চলে গেছে। তবে স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার হওয়ায় আন্তর্জাতিক ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো আবারো ফিরে আসছে বলে জানিয়েছে বিজিএমইএ।
রীতি অনুযায়ী এ কমিটিতে ছয় জন সদস্য থাকবেন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে শনিবার আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।
এ দফায় গণফোরাম, এলডিপি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, ১২ দল, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, লেবার পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) আলোচনায় অংশ নেয়।
সংলাপের পর এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিকাল তিনটায় এ সংলাপ শুরু হয়ে সাতটার দিকে শেষ হয়। পরে ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে সংলাপ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী একথা জানান।
মাহফুজ আলম বলেন, সরকার তার দল নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে নিরপেক্ষ ও যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে এই সার্চ কমিটি গঠন করবে। সার্চ কমিটি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন কমিটি পুনর্গঠনের কাজ করবে।
পুনর্গঠিত নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিমূলক যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
‘আগে লুট এখন আস্থাহীনতা’ দেশ রূপান্তর পত্রিকার একটি শিরোনাম। সংবাদটিতে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসিতে নতুন কমিশন নিয়োগের কিছুদিন পর গত তেসরা সেপ্টেম্বর নাসির উদ্দিন নামে ফেনীর একজন সাধারণ বিনিয়োগকারী আমরণ অনশন শুরু করেন।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এসইসি ভবনের সামনে নিজের ছোট দুই বাচ্চাকে নিয়ে অনশনে এসেছিলেন তিনি। তার দাবি, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে তিনি সর্বস্বান্ত হয়ে গেছেন।
নিজের সম্পদ বিক্রির পাশাপাশি ধার-দেনা করে তিনি পুঁজিবাজারের মৌলভিত্তি ও লিক্যুইড শেয়ারে বিনিয়োগ করেছিলেন।
কিন্তু সেসব শেয়ারে বড় ধরনের লোকসান করে এখন তিনি সর্বস্বান্ত। ধারের টাকা পরিশোধের সামর্থ্যও তার নেই।
নাসির উদ্দিনের মতো এমন পরিস্থিতি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ থাকা লাখ লাখ বিনিয়োগকারীর।
গত প্রায় দেশ দশক ধরেই নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান-কমিশনাররা বাজার কারসাজিকারকদের সঙ্গে মিলে বিনিয়োগকারীদের এমন সর্বনাশ ঘটিয়েছেন।
দুর্বল ও নামসর্বস্ব কোম্পানি তালিকাভুক্তি ও এসব কোম্পানির শেয়ার কারসাজির মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অর্থ লুটে নেন তারা।
আমলারা সহযোগিতা না করলে সামনের দিনগুলোতে সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে ‘নিয়মনীতির তোয়াক্কা’ করা হবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
তিনি বলেছেন, ‘একটা বিপ্লবের পর কোনো কিছুই কিন্তু আর সিস্টেম ওয়াইজ চলে না। আমরা সিস্টেমটাকে এখনও বজায় রেখেছি। আমরা প্রত্যাশা করি, আপনারা আমাদের সহযোগিতা করবেন এটা বজায় রাখতে।
কিন্তু যদি সিস্টেম ভাঙার প্রয়োজন পড়ে, তাহলে আমরা সিস্টেম ভাঙব। প্রয়োজনে নতুন নিয়োগ দিয়ে আপনাদের জায়গাগুলোতে নতুন লোকদেরকে বসাব।’
শনিবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে চট্টগ্রাম বিভাগ ও জেলার সরকারি দপ্তরগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক মত বিনিময় সভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
‘প্রশাসনে বিরাশি ব্যাচের দাপট’ কালের কণ্ঠ পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম। এ খবরে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশাসনে চালকের আসনে ফিরে এসেছে বিসিএস ১৯৮২ সালের নিয়মিত ব্যাচ।
এর মধ্যে প্রশাসনের শীর্ষ পদ মন্ত্রিপরিষদসচিব ও মুখ্য সচিব পদে নিয়োগ পেয়েছেন এই ব্যাচের কর্মকর্তা ড. শেখ আবদুর রশিদ ও মো. সিরাজ উদ্দিন মিয়া। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে নিয়োগ পেয়েছেন এই ব্যাচের আরো কয়েকজন কর্মকর্তা।
তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই প্রশাসনের বদলি-পদায়ন ও পদোন্নতির সিদ্ধান্ত দেন প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
তারাই এখন সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন, প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ কোন দপ্তরে কোন কর্মকর্তা বসবেন, কাকে সচিব বানানো হবে এবং কোন দপ্তরের দায়িত্ব দেয়া হবে।
শেখ হাসিনার সরকারের টানা ১৬ বছর শাসনামলের বড় একটি সময় প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণও ছিল এই ব্যাচের কর্মকর্তাদের হাতে।
এই ব্যাচ থেকেই মন্ত্রিপরিষদ সচিব হয়েছেন মোহাম্মদ শফিউল আলম ও খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম (বিশেষ)।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব হয়েছিলেন আবুল কালাম আজাদ, ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী এবং নজিবুর রহমান।
তারাই তখন নিয়ন্ত্রণ করতেন প্রশাসন।
এই ব্যাচের বিভিন্ন ক্যাডার থেকে অন্তত ৫৫ জন কর্মকর্তা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব হয়েছেন, যা বিসিএসের অন্য ব্যাচগুলোর বেলায় ঘটেনি।
‘প্রভাবশালীদের দুর্নীতি অনুসন্ধানে ধীরগতি, ২ মাসে মাত্র ১টি মামলা’ প্রথম আলো পত্রিকার শিরোনাম।
গণ অভ্যুত্থানে অআওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ রাজনৈতিক ও আর্থিকভাবে প্রভাবশালী ১৮০ জনের অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
তবে অনুসন্ধান কার্যক্রম চলছে অত্যন্ত ধীরগতিতে। অনুসন্ধান শেষ করে গত দুই মাসে দুদক মামলা করতে পেরেছে মাত্র একটি।
মামলাটি হয়েছে নয়ই অক্টোবর। অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছে দুদক।
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা হলেও অন্য প্রভাবশালীদের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে তেমন কোন অগ্রগতি নেই।
নির্বাচনী হলফনামার তথ্যের ভিত্তিতে সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের সম্পদ কত গুণ বেড়েছে, সে তথ্য বের করে রেখেছেন অনুসন্ধানে যুক্ত থাকা দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
Two S Alam sons dodged Tk 75cr in taxes in 20-21 – দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার প্রথম পাতার এ শিরোনামে বলা হয়েছে ২০২০-২১ সালে এস আলমের দুই পুত্র ৭৫ কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়েছেন।
সরকারি তদন্তে এ তথ্য পাওয়ার পর তিনজন কর্মকর্তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
কর বিভাগের গোয়েন্দাদের তদন্তে দেখা গেছে, অন্তত ছয়জন কর কর্মকর্তা, যাদের মধ্যে তৎকালীন কর কমিশনারও রয়েছেন, বিতর্কিত ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সাইফুল আলমের দুই পুত্রকে ৫০০ কোটি টাকার অপ্রকাশিত অর্থ বৈধ করতে অযৌক্তিক সুবিধা দেয়ার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিটের কর কমিশনার মোহাম্মদ আবদুর রকিবের তৈরি ওই প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, এ প্রক্রিয়ায় এস আলমের পুত্র আশরাফুল আলম এবং আসাদুল আলমকে ২০২০-২১ সালে ৭৫ কোটি টাকা কর ফাঁকি দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
চলতি মাসের ১৫ তারিখে দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনের পর, অর্থ মন্ত্রণালয় তিনজন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে, এবং এ বিষয়ে আরও তদন্ত চলছে বলে এই খবরে বলা হয়েছে।
‘Only 2.58pc victims given compensation in 2 years’ নিউইজ পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম এটি। এ খবরে বলা হয়েছে, সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ প্রকল্প চালু হওয়ার পর দুই বছরেআড়াই শতাংশের চেয়ে কিছু বেশি মানুষ ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন।
সরকারি তথ্য বলছে, সড়ক দুর্ঘটনার শিকার এবং তাদের পরিবারের মধ্যে এ পর্যন্ত মাত্র ৫৬৬ জন ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের মতে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে এই বছরের ছয়ই অক্টোবর পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনায় মোট নয় হাজার ২১৬ জন নিহত এবং বার হাজার ৬৮৯ জন আহত হয়েছেন।
২০২৩ সালের পহেলা জানুয়ারীতে ক্ষতিপূরণ স্কিমটি শুরু হওয়ার পর থেকে এ বছরের ছয়ই অক্টোবর পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের আবেদন জমা পড়েছে মাত্র এক হাজার ৯৪০টি।
অথচ এ সময়ে মোট ২১ হাজার ৯০৫ জনের মৃত্যু ও আহত হয়েছেন।
এখন পর্যন্ত ৪৮৩ জন নিহত এবং ৮৩ জন আহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে, যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার শিকারের মাত্র দুই দশমিক ৫৮ শতাংশ।
ক্ষতিগ্রস্ত ও তাদের পরিবার এখন পর্যন্ত ২৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছে। অথচ এ বছরের তেসরা অক্টোবর পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ তহবিলে ছিল ২২০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।