ছিনতাই আতঙ্ক নগর জুড়ে— মানবজমিন পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম। এতে বলা হয়েছে, দিনে-দুপুরে প্রকাশ্যে ছিনতাইয়ের পাশাপাশি সন্ধ্যায়, রাতে ও ভোরেও ছিনতাই হচ্ছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানির টাকা ছিনতাই, পথচারী, রিকশা আরোহী যাত্রীদের থামিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে।
এ ছাড়া গণপরিবহনে বসে থাকা যাত্রীদের কাছ থেকে মোবাইল, ব্যাগ, ল্যাপটপসহ অন্যান্য মূল্যবান জিনিসও ছিনতাই করে নিয়ে যাচ্ছে ছিনতাইকারীরা।
ছিনতাইকারীরা দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করছে। প্রকাশ্যে অটোরিকশা ছিনতাই, বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের টাকা বহনকারী গাড়িতে অস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনাও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
প্রাণঘাতী ছিনতাইয়ের ঘটনাও রয়েছে অহরহ। এছাড়া ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে আহত হচ্ছেন শত শত মানুষ। পুলিশের সূত্রগুলো বলছে, দেশে ১০ হাজারের বেশি ছিনতাইকারী ও ডাকাত রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামে এদের সংখ্যা বেশি।
পুলিশ সদরদপ্তর জানিয়েছে, শুধু ঢাকায় নয়, সারা দেশে ছিনতাই রোধে রেঞ্জ পুলিশ, পুলিশ কমিশনার, র্যাবসহ সব ইউনিটকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এখানে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যেকোনো সময় পদত্যাগ করতে পারেন’ খবরটি ছড়িয়ে পড়লেও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও পক্ষই এ ব্যাপারে কিছু বলছেন না।
গতকাল রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকেই শতশত মানুষ সড়কে বিক্ষোভ করেন।
এরপর রাত সাড়ে আটটার দিকে বিক্ষোভকারীরা রাষ্ট্রপতির বাসভবন বঙ্গভবনের সামনের নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন।
এ সময় তাদের সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের বাধা দিলে শেষ পর্যন্ত কেউ ভেতরে যেতে পারেনি।
কিন্তু বঙ্গভবনের সামনে পুলিশের গুলিতে এক শিক্ষার্থীসহ দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ছাড়া একজন সাউন্ড গ্রেনেডে আহত হয়েছেন।
এই খবর আজ দেশের সকল পত্রিকার প্রধান শিরোনাম হিসাবে এসেছে।
Scrap ‘72 constitution, ban Chhatra League— ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। এতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সরকারকে এক সপ্তাহের মাঝে পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য আল্টিমেটাম দিয়েছে।
ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘বিপ্লবী ছাত্র–জনতার গণজমায়েত’ কর্মসূচি থেকে এ দাবি তুলে ধরেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
তাদের পাঁচ দাবিগুলো হল— বাহাত্তরের সংবিধানকে অবিলম্বে বাতিল করতে হবে, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে মধ্যে পদচ্যুত করতে হবে এবং ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে।
এছাড়া, বিগত তিন নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করতে হবে এবং অভ্যুত্থান ও জুলাই বিপ্লবের চেতনার আলোকে ২০২৪-পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণে নতুন করে ‘প্রক্লেমেশন অব রিপাবলিক’ ঘোষণা করতে হবে।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “সরকার যদি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আমাদের এই পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়, তাহলে আমরা পূর্ণ শক্তি নিয়ে রাস্তায় নেমে আসবো।”
এই খবরটিও আজ দেশের প্রায় সকল পত্রিকার প্রথম পাতায় এসেছে।
এটিও গতকাল দিনভর আলোচনায় ছিল।
এখানে মূল বিষয়টি হল, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ঠিক রাখার জন্য দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি– এই চার মাস পর্যটকের সংখ্যা সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সেন্টমার্টিনে নভেম্বর মাসে পর্যটক যেতে পারবে, তবে রাত্রিযাপন করতে পারবেন না।
ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে সর্বোচ্চ দুই হাজার জন পর্যটক রাত্রিযাপন করতে পারবেন।
আর ফেব্রুয়ারি মাসে সেন্টমার্টিনে পর্যটন পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।
পক্ষাঘাতগ্রস্ত পুনর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি) ঘুরে জুলাই-অগাস্টের আন্দোলনে পুলিশের সরাসরি গুলিতে আহতদের নিয়ে এই প্রতিবেদনটি করা হয়েছে।
এখানে বলা হয়েছে, পুলিশের গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে ৮৫ জন কাতরাচ্ছেন সিআরপি-তে।
এর মধ্যে ৭০ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন সাভার সিআরপিতে, বাকি ১৫ জন মিরপুরসহ সিআরপির বিভিন্ন ব্রাঞ্চে।
আহতদের বেশির ভাগই মেরুরজ্জুতে পুলিশের গুলি ও বুলেটের আঘাতপ্রাপ্ত। গুলিতে কারও কারও হাত-পা এমনকি পুরো শরীর অবশ হয়ে গেছে।
আহতদের মধ্যে অনেকের পঙ্গুত্বের ঝুঁকি রয়েছে সারা জীবনের জন্য। সাভার সিআরপি-তে চিকিৎসাধীন কয়েকজনের ভবিষ্যৎ ভরসা হুইলচেয়ার।
গত পাঁচই অগাস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের পদত্যাগের পর তারা শিক্ষার্থীদের বয়কটে পড়েছেন।
প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান, আন্দোলনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা, আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের হুমকি দেওয়া প্রভৃতি অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষককে বয়কট করেছে শিক্ষার্থীরা।
তারা প্রায় সবাই ‘আওয়ামীপন্থি’ শিক্ষক।
সেপ্টেম্বরের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা, অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম স্বাভাবিক হলেও এসব শিক্ষক অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে ফিরতে পারেননি।
তাদের নিয়ে বেকাদায় পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এতে বলা হয়েছে, গত ২১শে অক্টেবার সোমবার সকাল থেকে জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লিমিটেড নামের তৈরি পোশাক কারখানা চালু ও বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকরা অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন, যা গতকালও চলমান থাকে।
আন্দোলনকারী শ্রমিকরা জানান, এক মাসের বেতন-ভাতা বকেয়া রেখে দুই মাস আগে কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
এর জের ধরে তারা সাভারের আশুলিয়ার বাইপাইল মোড়ে নবীনগর থেকে চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করেন।
পরে গতকাল বিকাল পৌনে পাঁচটার দিকে পুলিশ জলকামান দিয়ে পানি ছিটিয়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে ও মহাসড়ক থেকে শ্রমিকদের সরিয়ে দেয়।
এতে প্রায় ৩১ ঘণ্টা পর মহাসড়কটিতে যান চলাচল শুরু হয়।
No complete list of injured protesters yet— নিউ এজ পত্রিকার দ্বিতীয় প্রধান শিরোনাম এটি। এতে বলা হয়েছে, জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা এখনও তৈরি করতে পারেনি সরকার।
এই কাজের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কিন্তু সেই কমিটি এখন পর্যন্ত দুইবার তাদের সময় বাড়িয়েছে এবং আরও একবার বাড়াতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
তারা বলেছে যে সোমবার পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আন্দোলনে ৭৭৫ জন নিহত এবং ১১৯ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে এক হাজার ৬১২ জনের নিহত ও ৩০ হাজারের বেশি আহত হওয়ার একটি খসড়া তালিকা সরকারি কমিটির কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থাও আহত-নিহত নিয়ে তাদের নিজস্ব তালিকা তৈরি করেছে।
ওইদিন রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে মৌলিক প্রশিক্ষণরত ২৫২ জন উপপরিদর্শককে (এসআই) একযোগে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
একসঙ্গে ২৫২ এসআইকে অব্যাহতির পেছনে কোনো রাজনৈতিক কারণ আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “এটি শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে হয়েছে। তবে শৃঙ্খলার মধ্যে কী কী বিষয়, সেটি আমার জানা নেই। সারদা একাডেমি বলতে পারবে।
তারাই মূলত সিদ্ধান্তটা নিয়েছে। এখানে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার কোনো বিষয় নেই।”
কী ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করা হয়েছে?
উত্তরে তিনি বলেন, “শৃঙ্খলা একটি বড় বিষয়। এটি সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করার কিছু নেই। ডিসিপ্লিনের ক্ষেত্রে কোনও ধরনের কম্প্রোমাইজ নয়।”
এতে বলা হয়েছে, মেঘনা গ্রুপসহ সরকারি-বেসরকারি আট প্রতিষ্ঠান সরকারের সাড়ে আট হাজার কোটি টাকার গ্যাস বিল দিচ্ছে না।
তিতাসের কাছ থেকে গ্যাস সরবরাহ নিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে তা আবার সরকারি প্রতিষ্ঠান পিডিবির কাছে বিক্রি করে নগদে টাকা বুঝে নিলেও, এসব প্রতিষ্ঠান গ্যাস বিলের টাকা ঠিকই আটকে রাখছে বছরের পর বছর।
এর মধ্যে বেসরকারি মেঘনা গ্রুপ একাই দিচ্ছে না গ্যাস বিলের ৭৬৬ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে যোগসাজশে ইউটিলিটি বিল প্রদানে নানা সময় দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছে মেঘনা গ্রুপ।
এক দশকে সিএসআর খাতে ব্যাংকের ব্যয় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা— বণিক বার্তার এই প্রধান শিরোনাম অনুযায়ী, দেশের বঞ্চিত ও অনগ্রসর মানুষের সামাজিক ও শিক্ষামূলক উন্নয়নে দেশের ব্যাংকগুলোর করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার (সিএসআর) অর্থ ব্যয়ের কথা থাকলেও গত দেড় দশকে তা আবর্তিত হয়েছে ‘প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল’ ঘিরে।
যেকোনও উপলক্ষ কিংবা দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাংক চেয়ারম্যান কিংবা এমডিরা সিএসআরের অর্থ জমা দিতেন গণভবনে গিয়ে। হাসিমুখে ত্রাণ তহবিলের সে চেক গ্রহণ করতেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ১০ বছরে দেশের ব্যাংকগুলো সিএসআর খাতে ব্যয় করেছে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা।
এ ব্যয়ের প্রায় ৭০ শতাংশই জমা দেয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে।
আর সেই অর্থ দিয়ে মুজিব বর্ষ উদযাপন, চলচ্চিত্র নির্মাণ, শেখ হাসিনা পরিবারের সদস্যদের জন্ম-মৃত্যু দিবস পালনের মতো আয়োজনও করা হয়েছে।
সাত কলেজ নিয়ে হচ্ছে না নতুন বিশ্ববিদ্যালয়— সমকাল পত্রিকার দ্বিতীয় প্রধান খবর এটি। এতে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ঢাকার বড় সাতটি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত করা হয়েছিলো।
আট বছর পর এসে এখন এই সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা বলছেন, সরকারের ওই সিদ্ধান্ত ছিল সম্পুর্ণ অপরিকল্পিত। যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে কলেজগুলোকে অধিভুক্ত করা হয়েছিলো, আট বছরেও তা অর্জন করা সম্ভব হয়নি।
শিক্ষার মানের উন্নতির পরিবর্তে ঢাবি প্রশাসনের বৈষম্যমূলক বিভিন্ন নীতি অ প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে শিক্ষার্থীরা শিক্ষার যথাযথ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
তাই, তাদের দাবি, এই সাত কলেজ নিয়ে স্বায়ত্বশাসিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতীষ্ঠা করতে হবে।
তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে সমকাল জানতে পেরেছে, সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কিন্তু এ মুহূর্তে নতুন করে আর কোনও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা নেই ঢাকায়।
এতে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় সংসদের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিকে অভিশংসন (অপসারণ) করা যায়। কিন্তু বর্তমানে কোনও সংসদ বহাল নেই। তাই সংবিধান অনুসারে তাকে অভিশংসন করার কোনও সুযোগ নেই।
কিন্তু বর্তমানে দেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গণঅভ্যুত্থানের পর একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে।
একটি গণঅভ্যুত্থান যখন সফল হয়, তখন সেটা নিজেই তার বৈধতা সৃষ্টি করে। সংবিধান, প্রচলিত রীতিনীতি বা আইনকানুন তখন অকেজো এবং অকার্যকর হয়ে যায়।
এ রকম অবস্থায় পুরোনো পদ্ধতির পরিবর্তে নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করা যেতে পারে। যারা ক্ষমতায় আছেন, তারা বিদ্যমান সংবিধানকে পুরোপুরি বা আংশিক গ্রহণ বা বর্জনও করতে পারেন।
সে পদ্ধতি অনুসারেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সৃষ্টি এবং কার্যকর হয়েছে। একই কথা রাষ্ট্রপতির অপসারণ বা পদত্যাগের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
তিনি নিজে থেকে পদত্যাগ না করলে সরকার রাষ্ট্রপতিকে অব্যাহতি দিয়ে আদেশ জারি করতে পারে।