ঢাকায় ধানমণ্ডি
৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙার ঘটনায় ভারত সরকারের দেওয়া বক্তব্যকে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত
ও অপ্রত্যাশিত’ বলছে বাংলাদেশ সরকার।
ঢাকায় পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ে আজ রোববার বিকেলে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম সাংবাদিকদের
প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা প্রতিবেশী দেশটিতে নানা ধরনের বিরূপ পরিস্থিতি হতে দেখেছি। কিন্তু
বাংলাদেশ কোনো রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেয় না। অন্যদের কাছ থেকেও
বাংলাদেশ একই বিষয় প্রত্যাশা প্রকাশ করে।’
শেখ হাসিনা ভারতে
অবস্থান করে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক বক্তব্য দিচ্ছেন, যা বাংলাদেশের জনগণ ভালোভাবে নিচ্ছে
না বলেও উল্লেখ করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
তিনি বলেন, ‘৫ ফেব্রুয়ারি তাঁর (শেখ হাসিনা) বক্তব্যকে কেন্দ্র
করে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়, সে বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে
অবস্থান পরিষ্কার করেছে। এ বিষয়ে ৬ ফেব্রুয়ারি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি
মন্তব্য অন্তর্বর্তী সরকারের নজরে এসেছে।‘
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ
বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্তব্য করা অপ্রত্যাশিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত বলে মন্তব্য
করেন রফিকুল আলম।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকায় ভারতের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করে তাঁর হাতে একটি
প্রতিবাদপত্র তুলে দেয়।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে
ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত পাঁচই অগাস্ট ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর ছয় মাস পূর্তির
দিনে পাঁচ ফেব্রুয়ারি ভারতে বসে শেখ হাসিনার অনলাইনে ভাষণ দেন।
সেই ভাষণ দেওয়াকে
কেন্দ্র করে ঢাকায় ঘোষণা দিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবের বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া
হয়। এরপর দুদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি ও স্থাপনায় ভাঙচুর
করা হয়।
এমন পটভূমিতে ভারত
ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ হিসেবে বর্ণনা
করে বিবৃতি দেয়। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “হামলা-ভাঙচুরের
এই ঘটনার অবশ্যই নিন্দা জানানো উচিত।”
এখন বাংলাদেশ ভারতের
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির প্রতিবাদ করল।