ছবির উৎস, CA press wing
জুলাই আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবারের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে আর্থিক
সহায়তা কার্যক্রম শুরু করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
সোমবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে নিহত ২১ জন এবং আহত সাত
জনের হাতে চেক তুলে দেন।
সরকারের সিদ্ধান্ত
অনুযায়ী, একজন নিহতের পরিবার এককালীন ৩০ লাখ টাকা ও মাসিক ২০
হাজার টাকা ভাতা পাবে।
এই এককালীন টাকা জাতীয় সঞ্চয়পত্রের
মাধ্যমে দুই ভাগে দেয়া হবে। ২০২৪-১৫ অর্থ বছরে ১০ লাখ টাকা এবং ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে ২০
লাখ টাকা সহায়তা দেয়া হবে।
নিহতের পরিবারের কর্মক্ষম সদস্যরা সরকারি ও আধাসরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার পাবেন।
আহতরা দুটি মেডিকেল ক্যাটাগরি অনুযায়ী
সুবিধা পাবেন। গুরুতর আহতরা ‘ক্যাটাগরি এ’ অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা, এককালীন পাঁচ লাখ টাকা এবং মাসিক ২০ হাজার টাকা ভাতা
পাবেন।
এই এককালীন টাকা ব্যাংক চেকের মাধ্যমে দুইভাগে
দেয়া হবে। ২০২৪-১৫ অর্থ বছরে দুই লাখ টাকা এবং ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে তিন লাখ টাকা দেয়া
হবে।
সেইসাথে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আজীবন চিকিৎসা সুবিধা দেয়া হবে ও
মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশে দেশি-বিদেশি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা পাবেন।
সেইসাথে কর্মসহায়ক প্রয়োজনীয়
প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন সুবিধা পাবেন।
অন্যদিকে ‘ক্যাটাগরি বি’ অনুযায়ী, আহতরা এককালীন তিন লাখ ও মাসিক ১৫ হাজার টাকা ভাতা পাবেন।
এই এককালীন টাকা ব্যাংক চেকের মাধ্যমে দুইভাগে
দেয়া হবে। ২০২৪-১৫ অর্থ বছরে এক লাখ টাকা এবং ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে দুই লাখ টাকা দেয়া
হবে।
সেইসাথে কর্মসহায়ক প্রয়োজনীয়
প্রশিক্ষণ ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারি/আধাসরকারি কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন।
আহতদের বিশেষ পরিচয়পত্র দেয়া হবে যা দেখিয়ে সরকারি বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া
যাবে।
বৈঠকে নিহতদের পরিবারের
সদস্যরা এবং আহতরা জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার, রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ও পুনর্বাসনের দাবি
জানান।
এখন পর্যন্ত জুলাই আন্দোলনে ৮৩৪ জন নিহতের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে সরকার।
এছাড়া আহতদের তালিকাও শিগগিরই গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।