ঢাকা জেলায় ৫ লাখ ৩৭ হাজার ৫০১ জন শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল। শনিবার (১৩ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে এ কার্যক্রম।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আজিমপুরে ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিভিল সার্জন ডা. মো. জিল্লুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. ফারহানা কবীর, এমওসিএস ডা. মো. হাসান আলী, মেডিকেল অফিসার ডা. রিফাত শামীম ও ডা. প্রভা, জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায় আসাদুজ্জামান পান্না প্রমুখ।
সিভিল সার্জন ডা. মো. জিল্লুর রহমান জানান, জাতীয়ভাবে পরিচালিত ক্যাম্পেইনের অংশীদার হিসাবে ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে সহায়তা করছে। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে সাভার পৌরসভাসহ ঢাকা জেলার ৫টি উপজেলায় ৫ লাখ ৩৭ হাজার ৫০১ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
উপজেলাগুলো হলো- ধামরাই, সাভার, কেরানীগঞ্জ, নওয়াবগঞ্জ ও দোহার।
ডা. মো. জিল্লুর রহমান আরও জানান, ক্যাম্পেইনে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সি শিশুদের নীল রংয়ের একটি ১,০০,০০০ আইইউ এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সি শিশুদের লাল রঙের একটি ২,০০,০০০ আইইউ ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঢাকা জেলায় ১ হাজার ৭৯৩টি ইপিআই কেন্দ্রে, ১ হাজার ৬১৮টি আউলেটে ও অতিরিক্ত ১২৫টি কেন্দ্রে মোট ৩ হাজার ৪৮৮ জন সেচ্ছাসেবক এবং ১৯ জন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী কার্যক্রম পরিচালনা করবে। সরকারিভাবে সরবরাহকৃত এই ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষিত এবং শিশুর জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ।
অভিভাবকদের নির্ধারিত কেন্দ্রে শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ভিটামিন এ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, রাতকানা রোগ প্রতিরোধ এবং শিশুর শারীরির মানসিক বিকাশে সহায়তা করে। অভিভাবকদের শিশুকে ভরাপেটে কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে। জোর করে বা কান্নারত অবস্থায় শিশুকে ভিটামিন খাওয়ানো যাবে না। ৬ মাসের কম বয়সি এবং ৫ বছরের বেশি বয়সি এবং অসুস্থ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।
অন্যান্য চিকিৎসকরা বলেন, ভিটামিন এ কাপসুল খাওয়ানোর পাশাপাশি কিছু বিষয়ে সচেতন করা হবে। জন্মের পরপর নবজাতককে শালদুধ খাওয়ানো, ৬ মাস পর্যন্ত শিশুকে শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো; শিশুর ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণমতো ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোর বার্তাও প্রচার করা হবে।