‘প্রিয় নবীজি, নীরব অশ্রু আর ভাঙা হৃদয় নিয়ে আমি আপনাকে লিখছি…’

 

“প্রিয় নবীজি (সা.)!

নীরব অশ্রু আর ভাঙা হৃদয় নিয়ে আমি আপনাকে লিখছি। আপনাকে যথাযথভাবে জানতে না পারার এবং আপনার প্রতি যথার্থ সম্মান প্রদর্শন করতে না পারার মর্মবেদনায় ভুগছি। আমি শুধু দূর থেকে আপনার দয়া ও অনুগ্রহের গল্প শুনেছি। কিন্তু কখনো বুঝতে পারিনি আপনি কিভাবে আমাকে প্রভাবিত করেছেন।”

মা হারা এক কিশোরী চিঠি লিখেছে তার প্রিয় নবীজীকে উদ্দেশ করে। জর্জিয়ার আটলান্টার নাগরিক মালিকা। আট বছর বয়সে মাকে হারায় সে। এখন তার বয়স ১৬ বছর। মায়ের মুখে মহানবী (সা.)-এর গল্প শুনে কেটেছে তার শৈশব, যা তার জীবনকে প্রভাবিত করেছে নানাভাবে। ম্প্রতি নবীজি (সা.)-এর উদ্দেশে লেখা এক চিঠিতে সেই স্মৃতি ও আবেগ বিমূর্ত হয়ে উঠেছে। সার্বিয়া মেইলে প্রকাশিত চিঠির ভাষান্তর করেছেন আতাউর রহমান খসরু

পরে মেয়েটি লিখেছে, “আট বছর বয়সে আমি মাকে হারিয়েছি। তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তিনি ছিলেন একজন চমৎকার মা এবং ধর্মানুরাগী। সব সময় তাঁর কথায় কথায় আপনি উদ্ধৃত হতেন। সারা জীবন আমাকে বলা হয়েছে, আমি আমার মায়ের মতো দেখতে। আচার-আচরণেও নাকি আমি তাঁর মতো। তবে বিষয়টি আমাকে কষ্ট দেয়। কারণ আমি কখনোই এমন চমৎকার নারী হতে পারিনি। মায়ের বলা গল্পগুলো আমার মনে পড়ে। ইসলামের প্রতি তাঁর ভালোবাসা কত গভীর ছিল! তিনি আমাকে বলেছিলেন, তাঁকে আপনার একটি জীবনীগ্রন্থ দেওয়া হয়েছিল। আপনার মতো চমৎকার একজন মানুষ পৃথিবী থেকে চিরদিনের জন্য চলে যেতে পারেন, তা তিনি বিশ্বাস করতে পারতেন না। আপনার ও আপনার জীবনের গল্প বলে, আপনার প্রতি দরুদ ও সালাম পাঠ করে দীর্ঘ দীর্ঘ রাত পার করে দিয়েছেন আমার মা।

প্রাণপ্রিয় নবী আমার!
আমি স্বীকার করছি, মায়ের মৃত্যুর পর আমি আপনাকে ভুলে গেছি। কারণ আপনাকে স্মরণ করার অর্থ ছিল তাঁকে স্মরণ করা, যা আমার জন্য ছিল অত্যন্ত কষ্টকর। আমি জানি না, আপনাকে কিভাবে কৃতজ্ঞতা জানাব! আপনার স্মরণ অন্তিম মুহূর্তেও আমার মাকে প্রশান্তি দিয়েছিল। যখন তিনি ব্যথায় কাতর হতেন, তিনি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতেন আর আপনার প্রতি দরুদ পাঠ করতেন। আপনার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের সামর্থ্য আমার নেই। শুধু এতটুকু বলতে পারি, আমি আপনাকে ভালোবাসি। আমি আপনাকে ভালোবাসি একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে। আমি আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ, আপনি মায়ের মনে মৃত্যু-পরবর্তী মুক্তির আশা জাগিয়ে তুলেছেন, আপনি পৃথিবীতে সাম্য ও মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, আপনি নারীদের বেঁচে থাকার অধিকার দিয়েছিলেন। ফলে মায়ের মতো অসাধারণ মেয়ের জন্ম হয়েছিল। আপনার প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা হে প্রিয় নবী!

আপনার জন্ম ও জীবন মানবজাতির জন্য ছিল মহামূল্যবান পুরস্কার। আপনার স্পর্শে মানবসভ্যতা বদলে যায়। অসংখ্য মানুষের হূদয় জয় করেছেন আপনি। আমাদের পক্ষ থেকে আপনার প্রতি অগণন সম্মান ও ভালোবাসা হে প্রিয় রাসুল!

ভালোবাসা

মালিকা”

 

সূত্র: বিডি জার্নাল

ইসলাম সম্পর্কিত প্রতি মূর্হর্তের খবর জানুন এখানে

এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে ফেইসবুক পেজটি লাইক দিন এবং এই রকম আরো খবরের এলার্ট পেতে থাকুন

এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে ফেইসবুক পেজটি লাইক দিন এবং এই রকম আরো খবরের এলার্ট পেতে থাকুন

 আরো পড়তে পারেন:  

Loading...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *