অধিক উপকারী সহজ কিছু আমল

 

►    প্রত্যেক অজুর পর কলেমা শাহাদত পাঠ করুন।

উচ্চারণ : ‘আশহাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা-শারীকা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।’

এতে জান্নাতের আটটি দরজার যেকোনো দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪৪১, হাদিস একাডেমি, পবিত্রতা অধ্যায়)

►    প্রতি রাতে সুরা মুলক (৬৭ নম্বর সুরা) পাঠ করুন। এতে কবরের শাস্তি থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন।

(সহিহ নাসাঈ, সহিহ তারগিব, হাকিম-৩৮৩৯, সিলসিলাহ সহিহাহ-১১৪০)

►    সুরা ইখলাস তিনবার পড়লে পুরো কোরআন খতমের সওয়াব পাওয়া যায়। (বুখারি, হাদিস : ৫০১৫)

সুতরাং যত খুশি পড়ুন, চাইলেই প্রতিদিন শত শতবার কোরআন খতমের সওয়াব পেতে পারেন।

►    সকালে ও বিকেলে ১০০ বার করে ‘সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি’ পাঠ করুন। এতে মহান আল্লাহ আপনাকে সৃষ্টিকুলের সমস্ত মানুষ থেকে বেশি মর্যাদা দান করবেন। (আবু দাউদ তাহকিককৃত, হাদিস : ৫০৯১)

►    সকালে ১০০ বার ও সন্ধ্যায় ১০০ বার ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি’ পাঠ করুন। এতে কিয়ামতের দিন আপনার চেয়ে বেশি সওয়াব নিয়ে আর কেউ উপস্থিত হতে পারবে না। (সহিহ মুসলিম-৬৫৯৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন)

►    বাজারে প্রবেশ করে এই দোয়া পাঠ করুন।

উচ্চারণ : ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ইউহয়ী ওয়া ইউমীতু ওয়া হুয়া হাইয়ুল লা য়্যামুত, বিয়াদিহিল খাইরু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাই-ইন কাদির।’

এই দোয়া পাঠ করলে ১০ লাখ পুণ্য হবে, ১০ লাখ পাপ মোচন হবে, ১০ লাখ মর্যাদা বৃদ্ধি হবে এবং জান্নাতে আপনার জন্য একটি গৃহ নির্মাণ করা হবে। (তিরমিজি তাহকিককৃত-৩৪২৮, ৩৪২৯ শাইখ আলবানি হাদিসটিকে হাসান সহিহ বলেছেন)

►    বাড়িতে সালাম দিয়ে প্রবেশ করুন। এতে মহান আল্লাহ নিজ জিম্মাদারিতে আপনাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। (ইবনে হিব্বান-৪৯৯, সহিহ তারগিব-৩১৬)

►    জামাতে ইমামের প্রথম তাকবিরের সঙ্গে ৪০ দিন সালাত আদায় করুন। এতে আপনি নিশ্চিত জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন। (তিরমিজি, হাদিস : ২৪১)

►    জুমার দিন গোসল করে হেঁটে আগে আগেই মসজিদে গিয়ে ইমামের পাশাপাশি বসে মনোযোগের সঙ্গে খুতবা শুনলে বাড়ি থেকে হেঁটে আসার প্রতি কদমে এক বছর সারা রাত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া এবং এক বছর টানা সিয়াম পালন করার সওয়াব পাবেন। (তিরমিজি তাহকিককৃত-৪৯৬)

►    নারীরা চারটি কাজ করবেন—১. পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ২. রমজানের সিয়াম, ৩. লজ্জাস্থানের হেফাজত, ৪. স্বামীর আনুগত্য। এই চারটি আমলের বিনিময়ে জান্নাতের যেকোনো দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। (সহিহ ইবনে হিব্বান-৪১৬৩, মুসনাদে আহমাদ-১৬৬১)

►    মসজিদে ফজরের সালাত আদায় করে বসে দোয়া জিকির পাঠ করুন এবং সূর্য উঠে গেলে দুই রাকাত ইশরাকের সালাত আদায় করুন। এতে আপনি প্রতিদিন নিশ্চিত কবুল একটি হজ ও একটি ওমরাহর সওয়াব পাবেন আর কবুল হজের সওয়াব জান্নাত ছাড়া আর কিছু নয়। (তিরমিজি-৫৮৬, জুমুআর নামাজ অধ্যায়)

 

সূত্র: কালেরকণ্ঠ

এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে ফেইসবুক পেজটি লাইক দিন এবং এই রকম আরো খবরের এলার্ট পেতে থাকুন

 আরো পড়তে পারেন:  

Loading...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *