কর্মব্যস্ততা ও অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। চিকিৎসকদের মতে, মানুষ অন্যান্য রোগের চেয়ে বেশি ভুগছেন পাইলসে। আর খাদ্যাভ্যাস ও অনিয়মিত জীবনযাপন এর মূল কারণ।
মলত্যাগের প্রক্রিয়া মসৃণ না হলে দেখা দিতে পারে এই সমস্যা। ফলে মলত্যাগের সময় রক্তক্ষরণ ও অসহ্য ব্যথাও হতে পারে।
পাইলস সাধারণত দুই প্রকার। এক্সটার্নাল পাইলস, যাকে ব্লাইন্ড পাইলসও বলে। আর ইন্টারনাল পাইলস, যাকে ব্লিডিং পাইলসও বলে। এই ইন্টার্নাল পাইলস খুবই বিপজ্জনক। ইন্টার্নাল পাইলস হলে প্রায়শই রক্তক্ষরণ হতে দেখা যায়। আর রক্তক্ষরণ দীর্ঘস্থায়ী হলে মলদ্বারে ক্যান্সারও হতে পারে।
একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন। এই রোগটি খুবই বিপজ্জনক।
বিশেষজ্ঞদের মতে, খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের মাধ্যমে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কিছু খাবার রয়েছে, যা খেলে বিপদ বাড়তে পারে।
আসুন জেনে নিই যেসব খাবার খাবেন না-
১. স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, পাইলসে আক্রান্ত হলে মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত নয়। অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার হজম ক্ষমতাকে দুর্বল করে পাইলসের ব্যথাও বাড়ায়।
২. পাইলসে ভুগলে কফি ও চা জাতীয় পানীয় খাবেন না। এসব খাবার পাইলসের সমস্যা বাড়ায়। আর সুস্থ থাকতে পান করুন গ্রিন টি।
৩. বেকারি খাবার অপরিশোধিত ময়দা ও চিনি দিয়ে তৈরি হয়। এগুলো সহজে হজম হয় না। আর পাচনতন্ত্রের জন্য ভালো নয়। কারণ বেকারির খাবারে ফাইবার একেবারেই থাকে না, যা কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়ায়।
৪. প্যাকেটজাত ও তেলেভাজা খাবার অনেকের পছন্দ। চিকিৎসকদের মতে, পাইলসের রোগীর ভাজা খাবার উচিত নয়। এসব খাবার হজম ক্ষমতাকে দুর্বল করে এবং পাইলসের সমস্যা বাড়ায়।
৫. বিশেষজ্ঞদের মতে, কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগলে রক্তক্ষরণ হলে মাংস খাওয়া বন্ধ করতে হবে। বিশেষ করে রেডমিট খাবেন না। এ ছাড়া দোকান থেকে কেনা মাংসজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।
তথ্যসূত্র: বোল্ডস্কাই, যুগান্তর