বিবিসি বাংলা লাইভ: চিন্ময় কৃষ্ণের জামিনের শুনানি পিছিয়ে জানুয়ারিতে, বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় ত্রিপুরার তিন পুলিশ সাময়িক বরখাস্ত

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর বক্তব্যের প্রতিবাদে সোমবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

এই বিক্ষোভে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষের শিক্ষার্থীরা, নবগঠিত স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটির (স্মারক) সদস্যরা, জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থীরাও শামিল হয়েছিলেন তাতে।

স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক সাঈদ আহমেদ সরকার মঙ্গলবার বিবিসি বাংলাকে বলেন, “ভারতের মিডিয়ায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করা হচ্ছে। তাদের বোঝা দরকার যে এখানে একটি গণঅভ্যুত্থান হয়েছে।”

“বাংলাদেশকে আগের মতো ট্রিট করলে সেটা তাদের ভুল হবে। আমাদের বক্তব্য হলো, তোমরা তোমাদের জায়গায় থাকো। আমাদের দেশে হিন্দু বলে কোনও কথা নাই। আমরা সবাই বাংলাদেশি।”

গতকাল শিক্ষার্থীরা যে মিছিল বের করে, তাতে একাত্মতা জানিয়েছিলো জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থীরাও।

“প্রথমদিকে আমরা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নাগরিক অধিকার পরিষদ বিক্ষোভ মিছিল করি। পরে জগন্নাথ হলের অনেক শিক্ষার্থী আলাদাভাবে মিছিল বের করে একাত্মতা প্রকাশ করে,” বলছিলেন মি. আহমেদ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে হিন্দুসহ অন্যান্য অমুসলিম শিক্ষার্থীরা থাকেন। ভারতে সংঘটিত ওই ঘটনার বিরুদ্ধে ওই হলের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করায় সেই মিছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্যাপকভাবে আলোচিতও হয়।

গতকাল যেসব ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, সেগুলোতে শিক্ষার্থীদের স্লোগান ছিল ‘টু জিরো টু ফোর, আগ্রাসন নো মোর’, ‘ভারতীয় দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘দূতাবাসে হামলা কেন? হুঁশিয়ার! সাবধান!’

Source link

এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে ফেইসবুক পেজটি লাইক দিন এবং এই রকম আরো খবরের এলার্ট পেতে থাকুন

 আরো পড়তে পারেন:  

Loading...