যশোরে এক নারী ও তার আত্মীয়ের অসংলগ্ন ভিডিও ধারণ ও চাঁদাদাবির মামলায় আটক-২

jessore atok map

যশোরে এক গৃহবধূকে জিম্মি করে মোবাইলে অর্ধ উলঙ্গ ভিডিও করে তা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে চাঁদা নেয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ ্ওই মামলার দুই আসামিকে আটক করেছে। গত ২৬ জুলাই শহরতলীর রাজারহাটে এই ঘটনার পরে ২ আগস্ট ভুক্তভোগী নারী ৬জনের নামে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন।

আটককৃতরা হলো, রামনগর গ্রামের সরদারপাড়ার মোতাহার সরদারের ছেলে ইসরাফিল হোসেন মানিক ও রামনগর মোল্যাপাড়ার সলেমানের ছেলে আলিম।

এই মামলার পলাতক অন্য আসামিরা হলো, রামনগর মোল্যাপাড়ার আমির হোসেনের ছেলে আব্দুর রহমান, বাশারের ছেলে রেজওয়ান, সাকাত আলীর দুই ছেলে আসাদ ও আহাদ।

বাদী যশোর শহরের চাঁচড়া রায়পাড়া এলাকার দুই সন্তানের জননী ও এক পরিবহন শ্রমিকের স্ত্রী। গত ২৬ জুলাই রাত সাড়ে ৮টার দিকে রামনগর মোল্যাপাড়ায় আত্মীয় জয়নালের বাড়িতে দাওয়াতে যাওয়ার জন্য ওই নারীর দুই মামাতো ভাই হাসান আলী মনা ও আল আমিনকে সাথে নিয়ে একটি প্রাইভেটকারে গিয়েছেন। আত্মীয় জয়নালের স্ত্রী লিপি খাতুন নাস্তা আনার জন্য বাড়ির পাশে দোকানে গিয়েছিলেন। এরই মধ্যে সকল আসামি ওই বাড়িতে প্রবেশ করে ভুক্তভোগী নারী ও তার আত্মীয় হাসান আলী মনাকে জিম্মি করে ফেলে। এসময় দুইজনকে অর্ধ উলঙ্গ করে আসামিদরে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে। এরপরে তারা ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। নইলে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়া হবে বলে হুমকি দেয়া হয়। এক পর্যায় ভুক্তভোগী নারীঢর কাছে থাকা ১২ হাজার টাকা তারা নিয়ে নেয়।

এসময় ভুক্তভোগী নারী ও তার আত্মীয়কে অর্ধ উলঙ্গ করে ভিডিও ধারণ এবং ১২ হাজার টাকা নেয়ার ব্যাপারে কাউকে জানাতে নিষেধ করে। কয়েকদিন পরে আবার মোবাইলে রিং করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। রাজি না হলে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দিবে বলে জানায় আসামিরা। পরে বিষয়টি নিয়ে পরিবারের সাথে আলোচনা করে থানায় এজাহার দেন ভুক্তভোগী নারী। পুলিশ মামলা রেকর্ড করেই ওই আসামিকে আটক করে। গত ২ আগস্ট আটক দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

আরো পড়তে পারেন:  নিউজিল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন টাইগাররা

Source link

এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে ফেইসবুক পেজটি লাইক দিন এবং এই রকম আরো খবরের এলার্ট পেতে থাকুন

 আরো পড়তে পারেন:  

Loading...
আরো পড়তে পারেন:  কোটা আন্দোলন: শেখ হাসিনার ভাষণ আন্দোলনকারীদের শান্ত করতে পারেনি কেন?