ছবির উৎস, BNP MEDIA CELL/ BABUL TALUKDER
রাজশাহীর বিএনপির গণসমাবেশে ধানের শীষ হাতে এক সমর্থক (ফাইল ফটো)
- Author, মুন্নী আক্তার
- Role, বিবিসি নিউজ বাংলা
-
বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সপ্তাহ দুয়েক আগে রাজধানী ঢাকায় একই দিনে বড় দুই রাজনৈতিক দলের মহাসমাবেশ আহ্বান নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কোন দলই এখনো তাদের ঘোষিত স্থানে সমাবেশ করার অনুমতি পায়নি। তবে বিএনপি জানিয়েছে, নয়াপল্টনেই সমাবেশ করবে তারা। সে জন্যই এরই মধ্যে প্রায় সব প্রস্তুতি শেষ করেছে দলটি।
আওয়ামী লীগ বলছে, ২৮শে অক্টোবর ঘিরে তাদের সমাবেশের জন্য খুব বেশি প্রস্তুতির দরকার নেই। সারা দেশ থেকে নয়, শুধু ঢাকা মহানগর ও এর আশপাশের কর্মী সমর্থকরা তাদের এই সমাবেশে অংশ নেবে।
পুলিশ বলছে, দুদলের কাউকেই এখনো অনুমোদন দেয়া হয়নি। তবে ডিএমপির নির্ধারিত স্থানেই সমাবেশ করতে হবে দলগুলোকে।
আগামী ২৮শে অক্টোবর শনিবার ঢাকার নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। সারাদেশ থেকে ওই দিন দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা ঢাকার এই সমাবেশে অংশ নেবে বলে দলটি জানিয়েছে।
একই দিনে ঢাকায় আরেকটি সমাবেশ ডেকেছে আওয়ামী লীগও। বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেইটে অনুষ্ঠিত হবে আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ। দলটি বলছে, জনগণের অংশগ্রহণে ওই দিন তাদের সমাবেশ ‘জনসমুদ্রে’ পরিণত হবে।
এই দুই দল ছাড়াও ২৮শে অক্টোবর রাজধানীর শাপলা চত্বরে সমাবেশ করার অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছে জামায়াতে ইসলামি।
তবে পুলিশ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, দলটির কোন নিবন্ধন না থাকার কারণে সেদিন ওই স্থানে সমাবেশ করার অনুমোদন দেয়া হবে না তাদের।
বিএনপির প্রস্তুতি
আগামী ২৮শে অক্টোবরের মহাসমাবেশ ঘিরে বিএনপি প্রায় সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে বলে দলটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।
বিএনপির জেলা পর্যায়ের কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দলের পক্ষ থেকে শনিবার ঢাকায় উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে ঢাকার বাইরে থেকে যারা আসবেন তারা শুক্রবারের মধ্যে ঢাকায় পৌঁছানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ছবির উৎস, Getty Images
বিএনপি এখন সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে নেমেছে। (ফাইল ফটো)
ঢাকার পাশের একটি জেলার বিএনপির একজন কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এরইমধ্যে অনেক কর্মী ঢাকায় পৌঁছেছেন। বৃহস্পতিবারও অনেকে যাবেন। তবে শুক্রবারের মধ্যে বেশিরভাগ নেতাকর্মী ঢাকায় পৌঁছানোর চেষ্টা করবে।
দূরের জেলাগুলোর তুলনায় ঢাকার আশপাশের জেলাগুলোর নেতাকর্মীরা অনেকে শনিবারও রওয়ানা করবেন। তবে পরিস্থিতি যদি অনুকূল না থাকে সে ক্ষেত্রে একদিন-দুদিন আগেই ঢাকায় পৌঁছানোর চিন্তা রয়েছে বলে জানান এই কর্মী।
ঢাকায় পৌঁছানোর পর আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব বা হোটেলে এসব নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন বলেও জানান তিনি।
বিএনপির এই মহাসমাবেশ ঘিরে তৃণমূল পর্যায়ে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক নেতাকর্মী আসতে চাইলেও নানা ধরণের সংকটের কারণে সবাইকে আনা যায় না।
অনেক সময় পর্যাপ্ত যানবাহন পাওয়া যায় না। কিংবা ঢাকার প্রবেশমুখসহ একাধিক স্থানে পুলিশি হয়রানির কারণে অনেক নেতাকর্মীকে আনা হয় না।
“তবে এবার পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে, বা কোন বাধা সৃষ্টি করা না হলে বাস ভাড়া করেও যাতে যাওয়া যায়, সেটারও প্রস্তুতি রয়েছে,” বলেন তিনি।
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রিমন খান বলেন, সমাবেশ ঘিরে ঢাকায় যাওয়ার সময় নানা ধরণের হয়রানির মুখে পড়তে হয় তাদের। বিভিন্ন স্থানে পুলিশের চেকপোস্টের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের দৈহিক তল্লাসি, মোবাইল ফোন তল্লাসি, আটক, গাড়ি জব্দসহ নানা ধরণের হয়রানি করা হয়।
সে কারণে সতর্কতা হিসেবে যাদের থাকার ব্যবস্থা আছে তারা দুয়েক দিন আগেই ঢাকায় চলে আসে। অনেকেই এরইমধ্যে চলে এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামীকালের মধ্যে অন্তত ৯০ শতাংশ নেতাকর্মী ঢাকায় চলে আসবে।
মি. খান বলেন, “আগে আমরা প্রোগ্রামের দিন সকালে বাস ভাড়া করে আসার চেষ্টা করতাম। কিন্তু লাস্ট এক বছর ধরে সেটা হচ্ছে না। বাস ভাড়া দিতে ভয় পায়। সেজন্য অনেকে আগে চলে আসে।”
এবিষয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা অনেক আগে থেকেই বাধার মুখে পড়েছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, নেতাকর্মীদের যারা সমাবেশে আসতে চাচ্ছে তাদের বাসা-বাড়িতে যাওয়া হচ্ছে, গণপরিবহনকে ওই দিন ঢাকাতে আসতে না করা হচ্ছে, বিএনপির বন্ধু সংগঠনগুলোর নেতাদের হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে।
ছবির উৎস, BNP Media Cell
বুধবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি
তিনি বলেন, বিএনপি বরাবরই এ ধরণের বাধা মোকাবেলা করেই সমাবেশে যোগ দেয়ার প্রস্তুতি নিয়ে থাকে। বিভাগীয় সমাবেশ গুলোতেও একই ঘটনা ঘটেছে।
তাই আগের কৌশলেই নেতাকর্মীরা এবারো বিএনপির সমাবেশে যোগ দেবেন বলে আশা করছেন তিনি।
এদিকে ঢাকার নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আগামী ২৮শে অক্টোবরের মহাসমাবেশ নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই অনুষ্ঠিত হবে।
এ সম্পর্কিত সব ধরণের প্রস্তুতি দলটি এরইমধ্যে শেষ করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার তিনি বলেন, “আগামী ২৮শে অক্টোবর ২০২৩, শনিবার ঢাকায় নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির উদ্যোগে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠানের সকল প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। এই মহাসমাবেশ হবে নজীর বিহীন, ঐতিহাসিক।”
এই সমাবেশ শেষে এখান থেকে ঘোষিত পরবর্তী কর্মসূচি সফল করার জন্য সমাবেশ শেষে দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীরা নিজ নিজ জেলায় ফিরে যাবেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে, ডিএমপি যেখানে অনুমতি দেবে বিএনপিকে সেখানেই মহাসমাবেশ করতে হবে- সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনারের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, “পুলিশ কর্মকর্তারা প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা, তারা মালিক নন। তারা কীভাবে নির্ধারণ করে দেয় যে রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশ কোথায় হবে?”
“বিএনপি একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল, তাদের কয়েক বার দেশ পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এই দলটি কি জানে না যে সমাবেশ কোথায় করতে হয়? পুলিশ কর্মকর্তাদের এহেন বক্তব্য রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশে বাধাদান ও সরাসরি হস্তক্ষেপ।”
মি. রিজভী অভিযোগ করেন, সরকারি মন্ত্রী ও পুলিশ কর্মকর্তারা ঢাকা মহানগরকে আতঙ্কের জায়গা বানাতে চাচ্ছে পরিকল্পিতভাবে। রাজধানীর প্রবেশমুখে র্যাবের চৌকি বসিয়ে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। নেতাকর্মীদের বাড়ি ও আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিভিন্নভাবে নাজেহাল করছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, গত ২৮শে জুলাই থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৪০০টি মামলা দেয়া হয়েছে যার আসামী সংখ্যা ২৬ হাজার ৭০০ জন। এ সময়ে গ্রেফতার করা হয়েছে তিন হাজার ৬২০ জন নেতাকর্মীকে।
ছবির উৎস, Getty Images
রাজনৈতিক দলগুলো চায় সমাবেশে বড় আকারে লোক সমাগম ঘটাতে।
আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি
বিএনপির পাশাপাশি আগামী ২৮শে অক্টোবর শান্তি ও উন্নয়ন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগও।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বিবিসি বাংলাকে বলেন, গত এক বছর ধরে তারা ধারাবাহিকভাবে সরকারের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ পালন করে আসছেন। ২৮শে অক্টোবরের সমাবেশও তারই অংশ।
বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে অনুষ্ঠিতব্য এই সমাবেশে দলের নেতাকর্মী, সাধারণ মানুষ-সবাইকে যোগ দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বিবিসি বাংলাকে বলেন, তাদের এই সম্মেলনে সারা দেশ থেকে নয় শুধুমাত্র ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা অংশ নেবেন।
এছাড়া ঢাকা জেলার মধ্য থেকেই হয়তো নেতাকর্মীরা আসবে। সারা দেশের নেতাকর্মীদের প্রয়োজন পড়বে না।
তিনি বলেন, এই সমাবেশ ঘিরে খুব বেশি প্রস্তুতির প্রয়োজন হবে না আওয়ামী লীগের।
“আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বৃহৎ, সবচেয়ে প্রাচীন একটি রাজনৈতিক দল। যে দলের শুরু থেকেই দেশের মানুষের জন্য আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এ পর্যন্ত আসছে। সে কারণে আওয়ামী লীগের কোন সমাবেশের জন্য বেশি প্রস্তুতির প্রয়োজন পড়ে না।”
আওয়ামী লীগের প্রতিদিনই কর্মসূচি থাকছে এবং সে হিসেবে সভা-সমাবেশের প্রস্তুতি আছে।
যা বলছে পুলিশ ও সরকার
বিএনপি আগামী ২৮শে অক্টোবর ঢাকার নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিলেও তা এখনো অনুমোদন দেয়নি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
এ বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি সমাবেশের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে। সেটি যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। তবে সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
অনুমোদন দেয়া হলে দুই দলের সমাবেশ ঘিরে যে ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দরকার তা দিতে পুলিশের প্রস্তুতি রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ছবির উৎস, Getty Images
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল (ফাইল ফটো)
নয়াপল্টনে সমাবেশের বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা নয়াপল্টনে বড় ধরণের সমাবেশ হলে আমরা বলে থাকি, ঢাকায় কোন মাঠ থাকলে সেখানে করাটাই শ্রেয়। পুলিশ এটা তীব্রভাবে অনুভব করে। বিভিন্ন সময় আমরা এটা বলেছি।”
তার মানে কি, যেখানে ডিএমপি অনুমতি দিবে, সেখানেই বিএনপিকে মহাসমাবেশ করতে হবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “অবশ্যই। ইতিপূর্বেও কিন্তু তাদের সাথে আমাদের বিভিন্ন সময় কথা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকে সেই ব্যবস্থা নিয়েছে।”
বাংলাদেশের আরেকটি রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামিও শাপলা চত্বরে সমাবেশ করার অনুমোদন চেয়েছে।
এ বিষয়ে মি. মহিদ উদ্দিন বলেন,জামায়াতে ইসলামি একটি দরখাস্ত করেছে। কিন্তু এই দলটির বিষয়ে হাইকোর্ট এবং নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষণ আছে। সব মিলিয়ে শাপলা চত্বরের মতো জায়গায় কোন সমাবেশ করতে দেয়া হবে না – কারণ এটি কেপিআই ভুক্ত জায়গা।
নাশকতার সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্য এখনো পুলিশের কাছে নেই। তবে সেটি যে হবে না, সেটি বলারও সুযোগ নেই বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, নগরবাসীকে নিরাপদ রাখার জন্য যে ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া দরকার সেটি নেয়া হবে।
সমাবেশ ঘিরে নিরাপত্তার বিষয়ে র্যাব বলেছে, জনগণের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখেই পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে। চেকপোস্টের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে বাহিনীটি।
সমাবেশ নিয়ে সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সমাবেশের জন্য এখনো কাউকে অনুমোদন দেয়া হয়নি। সমাবেশের জন্য কাকে অনুমোদন দেয়া হবে সেটা পুলিশ কমিশনার নির্ধারণ করবে। সরকার সেখানে কোন বাধা দেবে না।
ঢাকার প্রবেশমুখ বন্ধ করা হবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সমাবেশে অংশ নেয়া ছাড়াও ব্যবসা বা চাকরির জন্য বহু মানুষ প্রতিদিন ঢাকায় আসেন। কাজেই ঢাকার পথ বন্ধ করা হবে না।
“বিএনপি যদি শান্তিপূর্ণভাবে তাদের নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান করে পরে চলে যায়, সেখানে আমরা কোন বাধা দেব না।”
নয়াপল্টনে মহাসমাবেশের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মি. খান বলেন, বিএনপি সারা বাংলাদেশ থেকে নেতাকর্মীদের ঢাকায় আনার ঘোষণা দিয়েছে। এতো লোক ঢাকায় আসলে একটা অন্যরকম পরিস্থিতি হতে পারে।
“তাই আমাদের কমিশনার সাহেব তাদের কোথায় সমাবেশটা করতে দেবে সেটা কমিশনার সাহেব বুঝবেন, সেইভাবে তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন।”